ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শ্রাবণেও নেই ইলিশ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২২  

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর জেলেরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। ভেবেছিলেন নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের দেখা মিলবে। কিন্তু ইলিশের ভরা মৌসুমেও উপকূলীয় চরফ্যাশন উপজেলার জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না রুপালি ইলিশ।

জ্যৈষ্ঠ থেকে ভরা মৌসুম চলছে ইলিশের। কিন্তু জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণেও আশানুরূপ দেখা মিলছে না। তবে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী, শিগগিরই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়বে ইলিশ। 

এদিকে, সাগরে মোটামুটি ইলিশ পাওয়া গেলেও মেঘনা, তেঁতুলিয়া নদীতে মাছের হাহাকার। দিনের বাজারে ভোজন রসিকদের চোখ ইলিশের ডালির দিকে। অন্য বছর এই সময়ে নদীর রুপালি ইলিশে বাজার ভরা থাকলেও এবার ঠিক উল্টো। ফলে দুর্দিনে পড়েছেন জেলেরা। একই সঙ্গে হতাশ মাছের আড়তের মালিকরাও। 

সারা দিনে দুই-এক ঝুড়ি মাছ ঘাটে এলেও তেমন হইচই নেই চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া, সামরাজ, নতুন সুইজ, খেজুর গাছিয়া, বস্কসি, ঢালচর, চরপাতিলা মাছ ঘাটগুলোতে। সেই সঙ্গে হাটবাজারগুলোতেও নেই ইলিশের সেই হাঁকডাক। ফলে উপজেলার ৪৪ হাজার ৩১১ জন নিবন্ধিত জেলেসহ প্রায় ৬০ হাজার জেলে হতাশায় রয়েছেন। 

জেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বছরের অন্য সময় মাছ ধরে কোনোক্রমে সংসারটা চলে যায়। তখন কিছু টাকা ধার করতে হয়। আর ইলিশের মৌসুমে আয়ের সময়। এ বছর সেখানেই ঘাটতি পড়েছে। কী করে সংসার চালাব বুঝে উঠতে পারছি না।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মারুফ হোসেন মিনার বলেন, বৃষ্টি হলেই মাছটা জেগে ওঠে। বৃষ্টি যত বেশি হবে মাছের তত দেখা মিলবে। তবে ভোলাসহ উপকূলীয় কিছু কিছু জায়গায় মোটামুটি দেখা যাচ্ছে। দেরিতে হলেও মাছ হবে এমনটা আশা করা যায়। 

তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইলিশ মাছের মৌসুম পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে এই ভরা মৌসুমেও ইলিশ ধরা পড়ছে না। বিষয়টি চিন্তার হলেও এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জেলেদের জালে যে একদমই মাছ ধরা পড়ছে না তা কিন্তু নয়। ইলিশ ধরা পড়ছে তবে পরিমাণে কম। একই সঙ্গে ছোট সাইজের। মূলত চলতি বছরে খুব বিলম্বে বৃষ্টি হয়েছে। ফলে ইলিশ মাছের তেমন দেখা মেলেনি।