সিদ্দিকী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকলে সেটা কলঙ্কজনক হবে

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজনে ৩ শ’ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমি চাই মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিক। নির্বাচনে যদি ভোটারের উপস্থিতি না হয়- তাহলে সেটা আমার বোনের জন্য কলঙ্কজনক হবে। সংবিধান অনুসারে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে প্রয়োজন হলে আমরা ৩ শ’ আসনে প্রার্থী দিব।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মহাসড়কের পাশে ফেলে যাওয়া এক বৃদ্ধকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের রাজনীতিতে আমেরিকার ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমেরিকা এসে তাদেরকে (বিএনপি) ক্ষমতায় বসিয়ে যাবে এটা বাংলার মানুষ মেনে নিবে না। বিশেষ করে ইসরাইল এখন গাজায় যা করছে, আমেরিকা ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে একেবারে সর্বোতভাবে সাহায্য করছে। যারা মানুষ হত্যার পিছনে থাকে- বাংলার মানুষ তাদের পিছনে থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে দিয়েও পরাজিত হয়েছিল। এবার না হয় অষ্টম নৌবহর না হয় দশম নৌবহর পাঠাবে’।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে যেই মাত্র জ্বালাও পোড়াও আসবে, ভাঙচুর আসবে, সেই মাত্র বুঝতে হবে যারা জ্বালাও পোড়াও করছে- তারা হেরে যাচ্ছে। তারা (বিএনপি) এখন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে, নিয়ন্ত্রণহীন রাজনীতি অর্থহীন। আমরা আইউব খাঁনকে জ্বালাও পোড়াও করে বিদায় করিনি, আমরা লাখো মানুষ রাস্তায় বেড়িয়ে আইউব খাঁনকে স্তব্ধ করে দিয়েছিলাম। তার পুলিশ, ইপিআর ও আর্মিকে স্তব্ধ করে আমরা বঙ্গবন্ধুকে জেলের তালা ভেঙ্গে বের করে এনেছিলাম। আজকে যদি তারা (বিএনপি) তেমন গণঅভূত্থ্যান করতে পারেন, করবেন’!
এর আগে বেলা ১১টার দিকে চান্দিনা এসে পৌঁছলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন বক্সী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস শীল, পৌর মেয়র শওকত হোসেন ভূইয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান, থানা অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী আব্দুল মালেক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সদস্য সৈয়দ মাহবুবুর রহমান পারভেজ, আবুল হোসেন, ফরিদ আহমেদ, যুব আন্দোলন সভাপতি হাবিবুন নবী সোহেল, যুব নেতা ইমরান জিসান, শাকিলুর রহমান শাকিল ও রাসেল মোহাম্মদ ডালিম।