ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সু চি মিথ্যাবাদী, বলছে বার্মিজরাই

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯  

একসময় গণতন্ত্রের আইকন হিসেবে পরিচিত সু চি এখন বার্মিজদের কাছেই ‘মিথ্যাবাদী’ নামে খ্যাত। গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছেন সু চি। ২০১৬ সালে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন সু চি। তবে তিনি ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও দেশটির গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্বে দেশটির সেনাবাহিনী। 

সমালোচকদের মতে, মিয়ানমার সরকারের সাজানো স্টেট কাউন্সিলর হলেন সু চি। বিদেশি নাগরিকত্ব থাকায় দেশটির সরকার প্রধান হতে পারেননি তিনি। তাই সেনা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকেই তিনি দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে এসব কারণেই সেনাবাহিনীর নৃশংস অপরাধের পরেও নীরব সু চি।

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন নোবেল বিজয়ী অং সান সু চি। সেখানে নিজ দেশের হয়ে সাফাই গেয়েছেন তিনি।

এর আগে রোহিঙ্গা গণহত্যায় শুরু থেকেই নীরব ছিলেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু চি। ব্যাপারটিকে বিভিন্নভাবে এড়িয়েও গেছেন তিনি।

২০১৭ সালের আগষ্টে দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর ধর্ষণ, গণহত্যা সহ আরো অনেক সহিংস কার্যক্রম চালিয়েছে। তবে রক্তাক্ত সেই অভিযানকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আখ্যা দিয়ে সেটিকে বৈধতা দিয়েছিলেন সু চি।

প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা যখন সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে, বিশ্বমঞ্চে তখন ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন সু চি। তবে এরপরেও সেনাবাহিনীর নৃশংস ধর্ষণ, গণহত্যা ও ঘরবাড়ি জালিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেননি তিনি।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা মামলায়ও নিজের দেশের সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গাইছেন সু চি। ২৮ বছর আগে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে নোবেল জয়ী সু চি আজ আন্তর্জাতিক কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন।

তার এই নীরবতার দায় নিতে অনাগ্রহী মিয়ানমারের প্রবাসী নাগরিকরাও। মঙ্গলবার যখন রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার শুরু হয়েছে তখন আদালতের বাইরে সমাবেশ করেছেন বার্মিজরা। নিজ দেশের গণহত্যার দায় মেনে নিতে পারছেন না এই প্রবাসী মিয়ানমারেরা।

দ্য হেগে মামলার শুনানির সময় আদালতের বাইরে উপস্থিত ছিলেন বার্মিজ প্রবাসী মোয়ে মোয়ে। এক সময় সু চিকে আদর্শ ভাবতেন তিনি। তবে আজ তাকে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করছেন তিনি।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে যা কিছু ঘটেছে সে বিষয়ে দেশটির প্রবাসী নাগরিকদের মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে। এছাড়া পুরো বার্মা জুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছেন সামরিক স্বৈরশাসকেরা। এটি আমাদের বার্মা নয়। এরা বার্মিজ জনগণ নয় আর তাদের ধর্মও এটি নয়। আমরা বর্ণবাদী জাতি নই।