ব্রেকিং:
কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা জিয়াউর রহমান যেভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চেয়েছি চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

স্বস্তি ফিরছে দুগ্ধ খামারিদের

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২ মে ২০২০  

করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত দেড় মাস ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় সর্বত্রই দুধের চাহিদা ধ্বস নেমেছে। ৭০ টাকার কেজি দুধ বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েন ক্ষুদ্র, মাঝারি খামামি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। 

এ অবস্থায় লোকসানের ভয়ে স্থানীয় অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দুধ ব্যবসাও ছেড়ে দিয়েছেন। তবে রমজান আসায় হঠাৎ করে সর্বত্র বৃদ্ধি পেয়েছে দুধের চাহিদা। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে দামও। দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুদ্র, মাঝারি খামারি মালিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুখে ফিরে আসতে শুরু করেছে স্বস্তির হাসি। সেই সঙ্গে তারা আবার যেন নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। 

খামারিরা জানায়, করোনাভাইরাসের প্রভাবে অঘোষিত ভাবে চলে লকডাউন। এলাকায় বিরাজ করতে এক প্রকার আতঙ্ক। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হয় না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পৌর শহরসহ উপজেলার সর্বত্র হাট- বাজারে ছোট বড় শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। 

কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান ও নিত্যপণ্যে দোকান খোলা থাকে। বাজারে দুধের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে যায়। তবে চাহিদা কমলেও দুধ উৎপাদনে কোনো কমতি ছিল না। ফলে দুধ বিক্রি করতে না পাড়ায় খামারি ও ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে হয়। কিন্তু রমজান মাস চলে আসায় দুধের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায়। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি দুধ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

ক্রেতা মো. আজগর আলী বলেন, রমজান মাস আসায় দুধের চাহিদা ও দাম বেড়ে গেছে। ১ কেজি দুধ ৭০ টাকায় কেনা হয়। 

মো. আনিস মিয়া বলেন, নিজের গাভীসহ অন্য জায়গা থেকে প্রতিদিন আরো ৩০ কেজির বেশি  দুধ সংগ্রহ করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন বলে জানায়। করোনার প্রভাবে দুধ বিক্রি ছেড়ে দেয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। তবে রমজান চলে আসায় দুধের চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে গেছে। বিক্রিতে ভাল লাভ হচ্ছে। 

খামারি খোকন মিয়া বলেন, তার খামারে ১০টি গাভী থেকে নিয়মিত ৪০-৪৫ কেজি দুধ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিয়ে যেতো। করোনার প্রভাবে তার দুধ বিক্রিতে প্রভাব পড়ে। তবে রমজানের শুরুতে দুধের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বলে জানায়। 

খামারি জহিরুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দুধ পাইকারি বিক্রিতে অনেক প্রভাব পড়ায় বেশ ক্ষতি হয়। রমজানের শুরুতেই স্থানীয় খুচরা বাজারে দুধের চাহিদা বাড়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসে। 

সিরাজ মিয়া জানান, যাদের খামার রয়েছে মূলত তারা দুধ পাইকারিতে বেশি বিক্রি করে থাকে। লকডাউনের কারণে প্রতি কেজি দুধে ২০-৩০ টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে। তবে রমজান মাস আসায় চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে বলে জানায়।