হজ যাত্রা নিরাপদ করতে সবার পরামর্শ নেয়া হয়েছে: বিমান প্রতিমন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, হজ প্রতিপালন আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ। এ বছর হজ যাত্রীরা যেন নিরাপদে যেতে পারে, ফ্লাইট সিডিউলসহ কোনো ধরনের ঝুঁকি ঝামেলা যেন না হয় সেজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়, হাব, আটাবসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে হজ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। এ সময় বিমান সচিব মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

মো. মাহবুব আলী বলেন, করোনার কারণে ২০১৯ সালের পরে আর হজ হয়নি। এবার হজ ফ্লাইট শুরুর সম্ভাব্য তারিখ আগামী ৩১ মে। হজে যেতে হাজিদের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে।

ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ডাবলেরও বেশি ফুয়েলের দাম বেড়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিমানের ভাড়া দেড় লাখ করে নেয়া হবে। কিন্তু আমরা হাজিদের কথা চিন্তা করে বিমানের ক্ষতি হলেও ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ভাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর আশার আলো আমরা দেখতে পারছি। তাই অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের এ কাজগুলো করতে হবে। আমরা ৯ মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নিই। কিন্তু এ বছর মাত্র এক মাস সময় পাচ্ছি। আগামী ৩১ মে থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হতে পারে আমরা সে রকম ধারণা করছি। এ সময়ের ভেতরে যেন আলোচনা করে সব কাজ করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের ডেডিকেটেড ফ্লাইট থাকবে ২টি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিমানের মধ্যে গত বছরও হাজিদের নেয়া হয়েছে। এ বছরও নেয়া হবে। এ বছরও ৭৭৭ ডেডিকেটেড ফ্লাইট হিসেবে নেব।

তিনি আরো বলেন, হজ নিয়ে আমাদের যত ধরনের প্রস্তুতি নেয়া দরকার, সেটা নেব। ধর্ম মন্ত্রণালয়, বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, হাব, আটাবসহ সব স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে মিটিং করেছি, যেন শান্তিপূর্ণ হজ হয়। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুইটা ডেডিকেটেড ফ্লাইট থাকবে, ৩১ মে থেকে ফ্লাইট শুরু হবে। এটা ঢাকা থেকে অনুমোদন দিয়েছে। এখন সৌদি কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলেই হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমানকে ৭৫টি ফ্লাইট অপারেটর করতে হবে। ৭৫টি ফ্লাইটে ৩১ হাজার হজ যাত্রী যাবে। বাকিগুলো সৌদি এয়ারলাইন্স নেবে।