ব্রেকিং:
অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কুকি চিনের রক্তথাবায় বিপন্ন সবুজ পাহাড় জুলাইয়ে বেইজিং যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের পথে প্রধানমন্ত্রী পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত কুমিল্লায় তিন উপজেলায় বিজয়ী যারা- মনোহরগঞ্জে ভোটার না থাকলেও বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে ৭৭ হাজার ভোট!
  • বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হলি আর্টিজান মামলা: হাই কোর্টে এখনও শুনানির অপেক্ষা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২২  

বিচারিক আদালতে রায়ের পর আড়াই বছর গড়ালেও গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মামলার ডেথ রেফারেন্সের শুনানি এখনও শুরু হয়নি।

নজিরবিহীন এ হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকীতে মামলার অগ্রগতি জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, তারা ঈদের পরই শুনানির উদ্যোগ নিচ্ছেন।

সাপ্তাহিক ছুটি, ঈদের ছুটিসহ আগামী রোববার থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত বিচার কাজ বন্ধ থাকবে। তবে এই সময়ে বিশেষ বেঞ্চের মাধ্যমে জরুরি বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা আমিন উদ্দিন বলেন, “শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত আছে, আমরা রাষ্ট্রপক্ষও শুনানির বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি

“কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষ হলে প্রধান বিচারপতির কাছে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার ডেথ রেফারেন্সের শুনানির উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে।”

বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম জঙ্গি হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে।

পাঁচ তরুণ জঙ্গি রোজার ঈদের এক সপ্তাহ আগে পিস্তল, সাব মেশিনগান আর ধারালো অস্ত্র হাতে ঢুকে পড়েছিল সেই রেস্তোরাঁয়।

 

হামলাকারী পাঁচ তরুণ- নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

হামলাকারী পাঁচ তরুণ- নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

 

তারা জবাই ও গুলি চালিয়ে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে কমান্ডো অভিযানে ওই জঙ্গিদের হত্যা করা হয়।

গুলশান হামলার পর জঙ্গি দমন অভিযান গতি পায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে অনেক জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ার পাশাপাশি শীর্ষনেতাদের প্রায় সবাই মারা যান।

ওই হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় রায়ে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর আদালত সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তবে একজন খালাস পান রায়ে।

রায় ঘোষণার পর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য মামলার ডেথ রেফারেন্স ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত থেকে হাই কোর্টে আসে। হাই কোর্টের ডেসপাস (আদান-প্রদান) শাখা সেগুলো গ্রহণ করে পাঠায় ডেথ রেফারেন্স শাখায়।

পেপারবুক শাখা সেসব নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে নথিসহ রায়ের অনুলিপি ও আনুসঙ্গিক নথিপত্র পেপারবুক তৈরির জন্য ফেব্রুয়ারিতে বিজি প্রেসে পাঠিয়ে দেয়।

পাঁচ মাসের মাথায় ২০২০ সালের ১৮ অগাস্ট সে পেপারবুক বিজি প্রেস থেকে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়ে। ততদিনে দেশ করোনাভাইরাস মহামারীর কবলে পড়ে।

 

দণ্ডিতরা- উপরে বাঁ থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে- জাহাঙ্গীর হোসেন রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও আব্দুস সবুর খান সোহেল মাহফুজ

দণ্ডিতরা- উপরে বাঁ থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে- জাহাঙ্গীর হোসেন রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও আব্দুস সবুর খান সোহেল মাহফুজ

 

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রায়ে নব্য জেএমবির সাত সদস্যকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(অ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেছিলেন। আরও দুটি ধারায় তাদের কয়েকজনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আব্দুস সবুর খান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন।

মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়ে বিচারক তার রায়ে বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মধ্য দিয়ে আসামিরা ‘জঙ্গিবাদের উন্মত্ততা, নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার জঘন্য বহিঃপ্রকাশ’ ঘটিয়েছে। সাজার ক্ষেত্রে তারা কোনো অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারে না।

অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় বিচারের মুখোমুখি করা আসামি মিজানুর রহমানকে খালাস দেওয়া হয় রায়ে।