ব্রেকিং:
সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কুকি চিনের রক্তথাবায় বিপন্ন সবুজ পাহাড় জুলাইয়ে বেইজিং যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের পথে প্রধানমন্ত্রী পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত কুমিল্লায় তিন উপজেলায় বিজয়ী যারা- মনোহরগঞ্জে ভোটার না থাকলেও বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে ৭৭ হাজার ভোট! ব্যালটে ভুল প্রতীক, কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বদলি
  • মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

  • || ০৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হলি আর্টিজান হামলা: রক্তের দাগ, বুলেটের ক্ষত রয়েছে স্মৃতিপটে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২২  

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় রক্তের দাগ আর বুলেটের ক্ষত রয়ে গেছে স্মৃতিপটে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের নৃশংস হামলা চালানোর ৬ বছর পূর্তি আজ।

সেদিন অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে জঙ্গিরা। ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে পুরো দেশ। দুবৃত্তদের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে প্রাণ হারান ৯ জন ইতালিয়ান, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয়, ১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান এবং ২ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

সেই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তাও নিহত হন। সেদিনের সম্মিলিত প্রতিরোধ অভিযানে মোট ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৪ জুলাই সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা হয়। তদন্তে ২১ জন আসামির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে পাঁচজন ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নিহত হন এবং পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে আরও আটজন নিহত হন।

হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পরের বছরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী জঙ্গি ও উগ্রবাদ দমনে তৎপর হয়। জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে পুলিশে গঠিত নয় নতুন নতুন বিশেষায়িত ইউনিট। নিরাপত্তা বাহিনীর একের পর এক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে প্রায় শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়েছে গত পাঁচ বছরে, গ্রেপ্তার হয়েছে কয়েক হাজার।

র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী, গুলশান হামলার পর শুধু তাদের হাতেই পরিচালিত হয়েছে ৭৭৯টি অভিযান। এতে গ্রেপ্তার হয়েছে ১ হাজার ৬৭৮ জন জঙ্গি। আত্নসমর্পণ করেছে ১৬ জন।

পুলিশের দাবি, ব্যাপক তৎপরতায় জঙ্গিদের ‘কোমর ভেঙে দেয়া হয়েছে’। তবে উগ্র মতাদর্শ ছড়ানোর চেষ্টা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। বিশেষ করে অনলাইনে জঙ্গিরা এখনও তৎপর।

এ বিষয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে স্মার্ট এপ্রোচ পদক্ষেপ গ্রহণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসির তৎপরতায় ভেঙে দেয়া হয়েছে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক। সিটিটিসি কর্তৃক পরিচালনা করা হয়েছে ২৩ টি High Risk Operation।

তিনি বলেন, ভয়াবহ হামলার তদন্তভার সিটিটিসিকে দেয়া হলে সিটিটিসি স্বল্পতম সময়ে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সকল সন্ত্রাসী, পরিকল্পনাকারী, অর্থ যোগানদাতাসহ অভিযুক্ত সকলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান হিসেবে সিটিটিসি গ্রহণ করেছে হার্ড এপ্রোচ ও সফট এপ্রোচ। সিটিটিসি আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করেছে।

সেদিন যা ঘটেছিলো

জিম্মি সংকটের ঘটনায় ১ জুলাই সন্ধ্যারাত থেকে ২ জুলাই দিবাগত সারারাত বিশ্ব গণমাধ্যমের নজর ছিলো ঢাকার গুলশান এলাকায় অবস্থিত হোলি আর্টিজান বেকারির দিকে। জঙ্গিদের ওই হামলায় সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও ওসি সালাউদ্দিনসহ ২০ জন নিহত হন।

নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির নাগরিক, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয় এবং একজন বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। বাকি দুজন ইশরাত আকন্দ ও ফারাজ আইয়াজ হোসেন বাংলাদেশি নাগরিক।

রাত ৯টা ৫ মিনিটে গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের হামলার খবর পায় পুলিশ। গুলশানের পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আশরাফুল করিম জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

রাত ৯টা ২০ মিনিটে ঘটনাস্থলে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান প্রত্যক্ষদর্শীরা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোলাগুলিতে আহত হন বনানী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দীন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে পুলিশ, র‍্যাব এবং আধা সামরিক বাহিনী বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের কয়েকশো সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থান নেয়। রাত সোয়া ১১টার দিকে হাসপাতালে মারা যান বনানী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দীন। এরপর রাত চারটা পর্যন্ত অস্ত্রধারীদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

আইএসের দায় স্বীকার

রাতেই জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট তাদের বার্তা সংস্থা বলে পরিচিত 'আমাক'-এ গুলশান হামলার দায় স্বীকার করে ২০ জন নিহত হবার কথা জানায়। আইএস-এর পক্ষ থেকে হামলাকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে তাদের 'সৈনিক' বলে দাবি করে এবং হামলার দায় স্বীকার করে নেয় তারা।

২রা জুলাই অভিযানের ঘটনাক্রম

রাতভর গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রাখার পর সেনা, নৌ, পুলিশ, র‍্যাব এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ কমান্ডো দল গুলশানে অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়। ৭টা ৪৫ মিনিটে অভিযান শুরু করে কমান্ডো বাহিনী। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দলের সদস্যরা রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।

সকাল সোয়া ৮টায় রেস্টুরেন্ট থেকে প্রথম দফায় নারী ও শিশুসহ ৬ জনকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। পাশের একটি ভবন থেকে একজন বিদেশি নাগরিক তার মোবাইল ফোনে সেটি ধারণ করেন। ৮টা ৫৫ মিনিটে ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয় অভিযানকারীরা। গোয়েন্দা দল ভবনের ভেতর বিস্ফোরকের জন্য তল্লাশি শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করে গোয়েন্দারা।

৯টা ১৫ মিনিটে অভিযান শেষ হয়। কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে প্রায় ১২ ঘণ্টার রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের অবসান ঘটে। সকাল ১০টায় ৪ জন বিদেশিসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধারের খবর জানানো হয়। একইসাথে রেস্টুরেন্টের ভেতরে অজ্ঞাত পাঁচজনের মৃতদেহ পাবার কথা জানায় পুলিশ। ১১টা ৫০ মিনিট: অভিযানে জঙ্গিদের ৬ জন নিহত এবং একজন ধরা পড়েছে বলে নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আইএসপিআর থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয় রেস্টুরেন্ট থেকে ২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঘটনার সেই রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে পাঁচ জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, মীর সামিহ মোবাশ্বের, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে যান। রাত ৮টা ৪২ মিনিটে প্রথমে তিন জন ও এক মিনিট পরে দুই জন ব্যাগে অস্ত্র ও বোমা নিয়ে ওই রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেন।

হলি আর্টিজান বেকারিতে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানকার বিভিন্ন টেবিলে বসে থাকা বিদেশি নাগরিকদের এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন জঙ্গিরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলিবিদ্ধদের গলায় ও শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। একইসঙ্গে বেকারির টেবিলে বসে থাকা হাসনাত করিম নামে এক ব্যক্তির পরিবার, সাত প্রকাশ নামে একজন ইন্ডিয়ান নাগরিক, তাহমিদ ও তার দুই বান্ধবীকে জিম্মি করে রাখেন। তাদের সঙ্গে জিম্মি করে রাখেন বেকারির প্রায় ১৫ জন কর্মীকেও।

ভয়াবহ সেই রাতের বর্ণনা দিয়ে বেকারির স্টাফ শিশির সরকার বলেন, সেই রাত ছিলো ভয়াবহ। হঠাৎ করেই এলোপাতাড়ি গুলি। আমি আর একজন জাপানি নাগরিক দৌড়ে গিয়ে চিলার রুমে আশ্রয় নিয়েছিলাম। রাত ১২টা থেকে একটার মধ্যে সেই চিলার রুম থেকে আমাদের বের করা হয়। এরপর আমার সামনেই সেই জাপানি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। আমি বেকারির স্টাফ বলে আমাকে মারেনি।

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ এই হামলার দুই বছরের মাথায় ২১ জনের সম্পৃক্ততা থাকার প্রমাণ পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় মামলার তদন্ত সংস্থা-কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তবে ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন অপারেশন থান্ডারবোল্টসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য অভিযানে মারা যাওয়ায় জীবিত ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষে রায়ে ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আব্দুস সবুর খান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। এছাড়া মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে একজনকে খালাশ দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে আপিল করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষও খালাস পাওয়া আসামির মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করেছেন।

এ বিষয়ে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ একটি পরাজিত শক্তি, যখনই জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তখনই তাদের চেইন অব কমান্ড সবাইকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হলি আর্টিজান বাঙ্গালি জাতির জন্যে একটি কলঙ্কিত দিন। এই হামলার সাথে যারা জড়িত ছিলো সবাইকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে জঙ্গিদের কার্যক্রম অনেকটাই অনলাইনভিত্তিক, জঙ্গিদের নেটওর্য়াক অনেকটাই ভঙ্গুর অবস্থা। তবে তারা বসে নেই, তারা বিভিন্নভাবে এক্টিভিটিস করছে, অনলাইনে সদস্য সংগ্রহ করছে।

দেশে এখন বড় ধরণের জঙ্গি হামলা করার আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এখন আমরা আমাদের বিভিন্ন সাইবার মনিটরিংয়ে যে তথ্য পাচ্ছি তাতে বোঝা যায় জঙ্গিবাদ এখন বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করেনি। তারা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, সংগঠিত হবার চেষ্টা করছে, আমাদের অভিযানের জন্য তারা সফল হতে পারেনি। তাদের গ্রেপ্তার করছি।

আমরা বলবো না তারা কোনোভাবেই নাশকতা করতে পারবে না, তবে আমরা আত্নতুষ্টিতে ভুগছি না। নিয়মতি সাইবার ওয়ার্ল্ডে মনিটরিং করছি, নজরদারি রাখছি। এমন কোনো তথ্য পেলে সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে।