ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

হাওর উন্নয়নে কোটি টাকা নয়-ছয়!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২০  

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় হাওর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে ধীর গতি আর নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। আর এর মাধ্যমে প্রকল্পের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা নয়-ছয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। 

এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বরাদ্ধ দেয়া হাওর উন্নয়নের কোটি কোটি টাকা সঠিক পর্যবেক্ষণের অভাবে চলে যাচ্ছে দেশের এক শ্রেণির অসাধু ঠিকাদারদের পেটে। 

উপজেলার সাতকাপন ইউপির বক্তারপুর গ্রামে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর অর্থায়নে হাওর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চলছে একটি সড়ক নির্মাণের কাজ।

প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২ শ’ ৮০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ মিটার প্রস্থের কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ‘হাসান এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। 

চলতি অর্থ বছরে কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কাজ। এরই মধ্যে ফুটে উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র। 

অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি প্রভাবশালী হওয়ায় সরকারি সিডিউল এর কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কাই করছে না। তাদের ইচ্ছেমত চালিয়ে যাচ্ছে কাজ। 

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। নির্মাণ কাজে ঢালাইয়ে সিলিকা বালুর পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে মাটি। যা পার্শ্ববর্তী হাওর থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসছে শ্রমিকরা। 

সিডিউল অনুযায়ী ৬.৩.১ (কংক্রিট, বালু ও সিমেন্ট) অনুপাতে ঢালাইয়ের মিশ্রণ করার কথা থাকলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। এ পর্যন্ত ঢালাই হওয়া কোনো অংশেই দেয়া হয়নি কংক্রিট। ফলে কাজ শেষ হাতে না হতেই সড়ক ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

ঢালাইয়ের উচ্চতা নিয়েও করা হচ্ছে নয়-ছয়। ১১ ইঞ্চি উচ্চতার ঢালাই করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে কিছু কিছু স্থানে। তবে বেশিরভাগ স্থানেই নেই ১১ ইঞ্চি উচ্চতার ঢালাই। 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইট, বালু, রড, সিমেন্টসহ সব সামগ্রী নিম্নমানের। ফলে নির্মাণ শেষ হওয়ার বছর পার হতে না হতেই ভেঙে যেতে পারে সড়কটি। 

এছাড়াও গাইডওয়ালের উচ্চতাও সিডিউল অনুযায়ী হয়নি। সাতকাপন ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল করিম বলেন, হাওর উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মিত হতে যাওয়া এ সড়কটিতে রীতিমত লুটপাটের মহোৎসব চলছে। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাতে কর্ণপাত করছে না। তাই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছি। 

ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মো. আব্দাল মিয়া বলেন, সড়ক নির্মাণে অনিয়ম হচ্ছে বিষয়টি শুনেছি। সরেজমিন গিয়ে দেখে পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করব। 

এ বিষয়ে প্রকল্পের সাব-ঠিকাদার জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। 

বাহুবলের ইউএনও স্নিগ্ধা তালুকদার বলেন, সড়ক নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এরইমধ্যে সড়কটি পরিদর্শন করেছি। সেখানে অনিয়ম হয়েছে বিষয়টি স্পষ্ট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।