২০৪১ সালের মধ্যে পুলিশকে আরো স্মার্ট করার পরিকল্পনা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স আর সাইবার পুলিশিংয়ে গুরুত্ব দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে পুলিশ বাহিনীকে আরো স্মার্ট করে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে নতুন ৪টি অ্যাডিশনাল আইজি ও ১৮টি ডিআইজিসহ ১৫৮টি নতুন পদ। এছাড়াও গঠন হচ্ছে নতুন বিভাগ।

অপরাধভিত্তিক স্বতন্ত্র ইউনিট করলে সেবা দিতে সুবিধা হয় বলছেন উর্ধতন কর্মকর্তারা। এক দশক ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পোশাক কারখানায় বারবারই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

গুজব ছড়িয়ে কিংবা বেতন ও বোনাসের দাবিতে অস্থির হয়েছে গার্মেন্টস কারখানা। এমন অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে তৈরি করা হয় শিল্প পুলিশ। কর্মকর্তারা বলছেন, এমন বিশেষায়িত বাহিনী গঠন করলে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সুযোগ-সুবিধা বুঝে কাজ করা যায়।

এমন অভিজ্ঞতায় নতুন করে সাজানো হচ্ছে পুলিশ বাহিনীকে। এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে নতুন পদ। যার মধ্যে রয়েছে ৪টি অ্যাডিশনাল আইজি, ১৮টি ডিআইজি, ৮৮টি এডিশনাল ডিআইজি এবং ৪৮টি এডিশনাল এসপি পদ।

আগে নৌপুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধানের পদগুলো ডিআইজি পদমর্যাদার হলেও সেগুলোকে একধাপ বাড়িয়ে এডিশনাল আইজিতে উন্নীত করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, ২০৪১ সাল নাগাদ সাধারণ অপরাধের সাথে সাথে বাড়বে সাইবার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সংগঠিত অপরাধের সংখ্যা। তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে স্মার্ট পুলিশ।

এছাড়া সারা দেশে সেবার মান বাড়াতে ট্রাফিক পুলিশসহ সব পুলিশ সদস্যের প্রশিক্ষণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।