ব্রেকিং:
কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা জিয়াউর রহমান যেভাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে চেয়েছি চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ধর্ম অবমাননা কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ ‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’ ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ধরে, ‘শিশুকে আঘাত’ করে পুলিশ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান রাতেই কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে এমভি আব্দুল্লাহ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিন্ডিকেটের থাবা প্রাণিখাদ্যের বাজারেও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, সম্পাদক মুন নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ আজ বিশ্ব মা দিবস চাঁদপুরে মন্ত্রী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় নাজিম কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

৪৩৭ সন্ত্রাসীর নিয়ন্ত্রণে রোহিঙ্গা শিবির

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ৩৪টি শিবির ৪৩৭ সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রণ করছে। পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ঐ ইউনিট ৮টি গ্রুপে বিভক্ত এসব রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর তালিকা পুলিশ সদর দফতরে পাঠিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড এবং নানা ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে পুলিশের ঐ বিশেষ ইউনিট এই তালিকা দেয়।

পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের তালিকাটি তাদের নজরে এসেছে। শিবিরগুলো ঘিরে মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ক্রমেই উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। দলবদ্ধ হামলার বহু ঘটনা ঘটেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত চার বছরে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে সন্ত্রাসীদের হাতে ২৩৭ জন খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮৭ জন। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১ হাজার ৭১২টি।

অভিযোগ রয়েছে, ক্যাম্পের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গোপনে সহায়তা করছে মিয়ানমারের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ঐ সংগঠনটির মাধ্যমে মাদক ব্যবসাও চালানো হচ্ছে। নানা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার দায়ে বিভিন্ন সময়ে ৫শ’ রোহিঙ্গা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়েছে। তাছাড়া পুলিশ-র‌্যাব ও বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, শিবিরগুলোতে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে বিরোধ, ভাড়া তোলা, পূর্ব শত্রুতা, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, খুনোখুনিসহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত কিছু রোহিঙ্গা। তারা মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ইয়াবা ব্যবসা চালাচ্ছে বেশি।

ঐ কর্মকর্তা আরো বলেন, ২০১৬ সালের ১৩ মে টেকনাফের মুচনী রোহিঙ্গা শিবিরের পাশে শালবন আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায় হাকিম বাহিনী। তারা আনসার কমান্ডার আলী হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে। নিয়ে যায় ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশমুখী ঢল নামে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। সীমান্ত পেরিয়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। ৩৪টি শিবিরে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রোহিঙ্গা শিবিরগুলো অপরাধীদের আখড়া হয়ে উঠছে। গুম, খুন, ধর্ষণসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা শিবিরগুলোতে হয় না। প্রতিটি শিবিরেই আছে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা। নারীদের তুলে নিয়ে যায় স্বামী-স্বজনদের সামনেই। রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেউ কেউ ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। আছে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান চক্র।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করা রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহকে হত্যা করা হয়। এর কিছুদিন পর একটি মাদরাসায় হামলা চালিয়ে তিন শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ঐ ঘটনার পরের দিন ক্যাম্পের দুজনকে হত্যা করা হয়।

কক্সবাজার-টেকনাফের ১৬ এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) কমান্ডিং অফিসার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, অপরাধীদের রুখতে প্রতিনিয়ত বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ কমে এসেছে। তারপরও আমরা সতর্ক আছি। তালিকাভুক্ত অপরাধীরা অনেকটা গা ঢাকা দিয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।