ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

৯৪ জনপ্রতিনিধির অনিয়ম অনুসন্ধানে মাঠে নামছে দুদক

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২০  

সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ের ৯৪ জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালীন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ওইসব জনপ্রতিনিধি অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির উপকারভোগীদের বঞ্চিত করেছেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া অভিযোগ পর্যালোচনা করে দুদক মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলের নেতৃত্বে যাচাই-বাছাই কমিটি ওই ৯৪ জনের তালিকা তৈরি করেছে।

এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ৯৪ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সবাই সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দুদক। কারো প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই। দেশের সহায়-সম্বলহীন মানুষের মুখের খাবার যারা কেড়ে নিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।

দুদক জানায়, ওই ৯৪ জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেগুলো হলো- প্রতারণা, কারসাজি করে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাষ্টাররোলে চাল, গম আত্মসাৎ, সরকারের দশ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের নামে কালোবাজারি, অসহায় জেলেদের  ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা তৈরি করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎ।

জানা গেছে, ওই ৯৪ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৩০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৪ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন। অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ওইসব জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নানা দুর্নীতির অভিযোগে এই পর্যন্ত ২১টি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আদালতে চার্জশিট পেশের জন্য মামলাগুলোর তদন্ত চলছে।