ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

একশ’ কোটি টাকা নিয়ে ভারতে পালালেন ব্যবসায়ী

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাধারণ গ্রাহকের প্রায় শত কোটি টাকার আমানত ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ভারতে পালিয়েছেন পাঁচ ব্যবসায়ী। প্রত্যেকের ভারতে নিজস্ব বাড়িতে অবস্থান করে নতুন করে স্বর্ণ ব্যবসা করছেন বলে জানা গেছে।

পালিয়ে যাওয়া স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন পিংকি জুয়েলার্সের মালিক গোবিন্দ বণিক, জলিল জুয়েলার্সের জাকির, শ্রী দুর্গা জুয়েলার্সের মালিক রঞ্জিত বণিক, অর্পা জুয়েলার্সের মালিক অলক ও জয় জুয়েলার্সের মালিক সুমন দত্ত। গোবিন্দ বণিক প্রায় ৫০ কোটি টাকা, জাকির ১৫ কোটি, রঞ্জিত বণিক ২০ কোটি, অলক ৫ কোটি, সুমন দত্ত ৪ কোটিসহ মোট ৯৪ কোটি টাকার আমানত ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে পালিয়ে যাওয়া জাকির ঢাকায় অবস্থান করছেন। ইউরোপে পাড়ি দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম বাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নরেশ বণিক দায়-দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন,  এতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি জড়িত নয়। গ্রাহকেরা নিজের ইচ্ছাতে সমিতিকে না জানিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের নিকট আমানত ও স্বর্ণ বন্ধক রেখেছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটি কোটি টাকা আমানত ও স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক রেখে মজুদ রেখেছেন আরো ছয় ব্যবসায়ী। তারা হলেন অর্পন জুয়েলার্সের মালিক মানিক দে, দত্ত জুয়েলার্সের মাণিক কৃষ্ণা, ফ্যাশন জুয়েলার্সের মালিক টুটুল বণিক, সুমন জুয়েলার্সের মালিক সুশান্ত, সজিব জুয়েলার্সের মালিক সজিব ও ভাই ভাই জুয়েলার্সের মালিক তরুন।

অপরদিকে, ভারতে টাকা পাচার করে সুশেন জুয়েলার্সের মালিক ভারতের বেলগুড়িয়ায় দুইটি বাড়ি, শিলিগুড়িতে দুই ও আগরতলায় একটি ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। বিশ্বজিৎ বণিক আগরতলা থেকে দুইটি বাড়ি, তার ভাই চন্দ্র বণিক একটি বাড়ি তৈরি করেছেন। তদারকি করেন মিন্টু জুয়েলার্সের পিন্টু দাস। তিনি ভারতের আগরতলায় আলিশান বাড়ি ও ঢাকা-চট্টগ্রামে একাধিক ফ্ল্যাট এবং গাড়ি আছে বলে জানা গেছে।

পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, সরকারের নির্দেশনা ছাড়া যাতে গ্রাহকেরা জুয়েলারী ব্যবসায়ীদের নিকট কোন আমানত জমা না রাখে।

পিংকি জুয়েলার্সের প্রতারণার শিকার যুবনেতা জসিম উদ্দিন, প্রবাসী শফিকুর রহমান, শ্রী দূর্গা জুয়েলার্সের প্রতারণার শিকার জামাল উদ্দিনসহ অনেক ভুক্তভোগী সাংবাদিককে বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করে লাখ লাখ টাকা আমানত রাখি। হঠাৎ করে তারা দোকানে তালা মেরে উধাও হয়েছেন।

চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ভুক্তভোগীদের কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।