কিশোরীকে পাঁচদিন আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৪

কুমিল্লায় কিশোরীকে অপহরণের পর পাঁচদিন আটকে রেখে ধর্ষণ ও মাথার ‍চুল কাটার অভিযোগে ধর্ষক ও তার মাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

রোববার বিকেলে গ্রেফতারদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
 
জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউপির এক কিশোরীকে গত ১২ অক্টোবর সকালে দয়ারামপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে সামিউল ওরফে বাছির ও তার বন্ধুরা ওই কিশোরীকে নিয়ে যায়।

পরে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর দূর্গাপুর ইউপির আড়াইওরা গ্রামের ভাড়া বাসায় আটকে রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর গত শনিবার বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাছির কিশোরীকে তার নিজ গ্রাম দয়ারামপুরে নিয়ে যায়। 

খবর পেয়ে কিশোরীর বাবা-মা ও স্বজনরা সেখানে ছুটে যায়। একপর্যায়ে তারা বাছিরের পরিবারের লোকজনের কাছে মেয়ের খবর জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে বাছিরের মা লিপি আক্তার ও অন্যান্যরা কিশোরীকে মারধরসহ মাথার একাংশের চুল কেটে দেয় এবং কিশোরীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের লাঞ্ছিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। 

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ওই কিশোরী বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় বাছির, তার বন্ধু জেলার বরুড়া উপজেলার মুশকিপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে হৃদয়, বুড়িচংয়ের দয়ারামপুর গ্রামের মো. রানা ও বাছিরের মা লিপি আক্তারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

বুড়িচং থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, মামলার আসামি সামিউল বাছির, হৃদয়, রানা ও লিপি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।