ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কিশোরীরাই টার্গেট, নগ্ন ভিডিও যায় ‘ডার্ক সাইটে’

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২০  

ফেসবুকে কিশোরীরাই টার্গেট। ফেক আইডিতে তাদের সঙ্গে গড়ে তোলা হয় সম্পর্ক। সময় গড়ালে কিশোরীদের নগ্ন-স্পর্শকাতর ভিডিও হাতিয়ে নেয় একটি চক্রের সদস্যরা। এরপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। অনৈতিক প্রস্তাব বা দাবি করা অর্থ না পেলেই সেইসব ভিডিও চলে যায়  ‘ডার্ক সাইট অর্থ্যাৎ পর্নোসাইটে।

সোমবার এমন ভয়ংকর অপরাধের সঙ্গে জড়িত তিনজকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জড়িত সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

অভিযানের সময় বেশকিছু সেক্স টয় ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিডিও মিলেছে। এসব উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ভার্চুয়াল সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে কিশোরীদের ব্যক্তিগত গোপনীয় ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নেয় তারা। পরে তা ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে টাকা দাবি করা হয়।

গ্রেফতারদের মধ্যে একজন বলেন, ফাঁদে ফেলতে প্রথমে ফেইক আইডি খোলা হয়। তারপর দেশ-বিদেশি মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তারপর ন্যুড কন্টেন্ট শেয়ার করা হয়। গ্রেফতারদের অন্যজন বলেন, একটি মেয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর কিছু ছবি তার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করি। গ্রেফতার তৃতীয় জন বলেন, একটি মেয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর পর্ন সংক্রান্ত কথাবার্তা বলি। তাকে বেশকিছু ন্যুড ছবি পাঠাই।

পুলিশের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম বলছে, গ্রেফতার তিনজনের চক্রটি মূলত ৯ থেকে ১৮ বছরের কিশোরীদের টার্গেট করতো। কারণ তারা শিশু পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত। বয়স কম থাকায় কিশোরীদের সম্পর্কের বিশ্বাসযোগ্যতা সহজে অর্জন করতে পারে এ চক্র। এতে অশালীন ভিডিও তৈরি করে তা আদান প্রদান হয়। অবশেষে এ চক্র এসব ভিডিও ডার্ক সাইটে পাঠিয়ে দেয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিজিটাল ফরেনসিক ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, দুটি পন্থায় এ চক্র ভিডিও সংগ্রহ করে। ফেইক নেইম বা কখনো সমকামী সেজে কাজটি করতো চক্রের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে ফেইক ইন্স্টাগ্রাম গ্রুপের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, যেখানে তারা ভিডিওগুলো শেয়ার করেন। এ গ্রুপগুলো চাইল্ড পর্নোগ্রাফির ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত। গ্রেফতার তিন শিক্ষার্থী এসব ভিডিও শেয়ার করতে অসংখ্য বিদেশি সব পর্নোসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেও রেখেছে। 

ইশতিয়াক আহমেদ আরো বলেন, এখন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হচ্ছে সাইবার প্যারেন্টিং। সন্তানকে সচেতন করে তুলতে হবে। সন্তানকে যথেষ্ট পরিমাণ সচেতন করতে না পারলে সাইবার ওয়ার্ল্ডের সারফেস ওয়েবে আছে নাকি ডার্ক ওয়েবে বিচরণ করছে তা শনাক্ত করা কঠিন। মনে রাখতে হবে, দু-একটি ঘটনা রেসপন্স করে এ রকম অপরাধ কমানো যাবে না। 

গ্রেফতারদের বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতার তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে কারা জড়িত তা বের করতে তদন্ত করা হচ্ছে।