ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিল্লায় চাহিদার তুলনায় ৩ লাখ ৯ হাজার ৮৮৯ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২২  

জেলার চাহিদার তুলনায় ৩ লাখ ৯ হাজার ৮৮৯ মেট্রিক টন বেশি খাদ্য উৎপাদন করেছে। কুমিল্লা সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০১১-২২ অর্থ বছরে জেলায় চাল, ভূট্টা এবং গমসহ মোট দানাদার খাদ্যের চাহিদা ছিলো ১০ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৪ মেট্রিক টন। জেলায় এসব খাদ্য উৎপাদিত হয়েছে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৩ মেট্রিক টন। কুমিল্লা জেলায় এই বৈচিত্র্যময় ফসল এবং বিশাল খাদ্য উদ্বৃত্তের জন্য কৃষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান।
তিনি বুধবার সকালে বাসসকে জানান, কুমিল্লায় আবাদি জমি রয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ১২২ হেক্টর। কৃষকদের অসামান্য অবদান এবং কৃষি বিভাগের সচেষ্ট থাকার ফলে আমরা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পেরেছি। জেলার ৬২ লক্ষাধিক মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়ার পর কুমিল্লা থেকে এসব উদ্বৃত্ত খাদ্য যাচ্ছে দেশের অন্যান্য জেলায়। এছাড়া কিছু কিছু ফসল বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।  
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৯১ হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৯৮ মেট্রিক টন। আউশের ৭৫ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ২৩ হাজার ৬১২ মেট্রিক টন, রোপা আমন ১ লাখ ১৫ হাজার ৩০৭ হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৪০৭ মেট্রিক টন, বোনা আমন ২১ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে ২৪ হাজার ৯৮০ মেট্রিক টন উৎপাদিত হয়েছে। অর্থাৎ ৩ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৩ হেক্টর জমিতে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯৭ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হয়েছে। ১ হাজার ২৯৮ হেক্টর জমিতে গম উৎপাদিত হয়েছে ৩ হাজার ৫৯৬ মেট্রিক টন।  ১১ হাজার ৪৭৪ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৮ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদিত হয়েছে। ১০ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬০২ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। সরিষা, তিল, বাদাম মিলে ১১ হাজার ১৪৪ হেক্টর জমিতে ১৪ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন তেল উৎপাদিত হয়েছে। ৩৬৭ হেক্টর জমিতে ৪ হাজার ১৪৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। মশুর, মাশকলাই, মটর, খেসারি, মুগসহ ২ হাজার ১৪৯ হেক্টর জমিতে ২ হাজার ৭২২ মেট্রিক টন ডাল উৎপদিত হয়েছে।
কুমিল্লা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান আরো জানান, কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ফলন উৎপাদিত হয় বরুড়া উপজেলায়। জলাঞ্চল হওয়ায় এক মৌসুমে ফসল ফলিয়ে সবচেয়ে পেছনে আছে মনোহরগঞ্জ। কুমিল্লা জেলা শুধু এক ধরনের সবজির জন্য নয়, পুরো জেলায় নানান রকমের দানাদার শস্য, শাক-সবজি উৎপাদিত হয়। বাণিজ্যিক ভাবেও কুমিল্লা সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন করে। আখ, কচুর লতি, মিষ্টি আলু, তিল, ধনিয়া, সরিষা বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। এছাড়া মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদও উৎপাদিত হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে।  আখ, মাল্টা, ড্রাগন ফলসহ বিভিন্ন ধরনের ফলও বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে কুমিল্লায়।