ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিল্লায় মাদক উদ্ধারে পিছিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

মাদক উদ্ধার কার্যক্রমে পিছিয়ে আছে কুমিল্লা জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ২০১৯ সালে মাদক উদ্ধার, আসামী গ্রেফতারে পুলিশ ও বিজিবির চেয়ে পিছিয়ে আছে তারা। জনবল সংকটের কারণেই উদ্ধার কার্যক্রম বাড়াতে পারছে না বলে দাবি করেছেন কুমিল্লা কার্যালয়ের প্রধান। বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আর লিফলেট-পোস্টার সাঁটানোর কাজেই করছেন তারা।  
কুমিল্লা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০১৯ সালে জেলা পুলিশ উদ্ধার করেছে ১৫ কোটি ৬৪ লাখ ১১ হাজার ১ শ’ ৫৬ টাকা মূল্যে বিভিন্ন ধরনের মাদক। এসব মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২ হাজার ৬ শ’ ৮৪ টি। এসব মামলায় মোট আসামী দেখানো হয়েছে ৩ হাজার ৩ শ’ ৭১ জন। ওই সালে বিজিবির ১ হাজার ২শ’ ৩৬ টি মামলায় আসামী দেখানো হয়েছে ৫শ’ ১২ জনকে। ৮ কোটি ৭২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮ টাকা মূল্যের বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে তারা। র‌্যাব উদ্ধার করেছে ২ কোটি ২৩ লাখ ২ হাজার ২শ’ মাদক। ৯২টি মামলায় আসামী ১৩০ জন। এছাড়া রেলপুলিশের ৩৪টি মামলায় আসামী ৩২ জন। মাদক উদ্ধার হয়েছে ১৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা মূল্যের।
একই পরিসংখ্যান থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, ২০১৯ সালে মাদক সংক্রান্ত ৩শ’ ৩৮টি মামলায় মোট আসামী হয়েছে ৩ শ’ ১ জন। এই অধিদপ্তর উদ্ধার করেছে ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ৫ শ’ টাকার মাদক দ্রব্য। তারা শুধুমাত্র রেলওয়ে পুলিশের চেয়ে এগিয়ে আছে।
জুলাই ২০১৯ হতে জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত ৮ মাসে এই কার্যালয়েল মামলার সংখ্যা ২২০টি এবং আসামী করা হয়েছে ২০৩ জনকে। আটকৃত মাদকদ্রব্যের তালিকায় আছে,  ৩ হাজার ৯শ ২৪ পিস ইয়াবা, প্রায় ১১০ কেজি গাঁজা, ১ টি গাঁজা গাছ, ফেনসিডিল ৬৫ বোতল, চোলাই মদ ১০৩ লিটার।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলার তথ্য মতে, কুমিল্লা কার্যালয়ে ৩৩ টি পদে জনবল থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে চতুর্থ শ্রেণীর ৩ কর্মচারিসহ এখানে আছে মাত্র ১১ জন। এর মধ্যে দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত বেশির ভাগ। এই জনবল কুমিল্লা জেলার মত একটি গুরুত্বপূর্ন এলাকার জন্য পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন জেলা কার্যালয়ের নব নিযুক্ত উপ পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন। এছাড়া  নিরস্ত্রভাবে মাদক উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা ঝুঁকিপূর্ন বলেও মনে করেন তিনি।  
মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদকের স্পট গুড়িয়ে দেয়া, আসামী গ্রেফতার ও মামলার বাইরেও এই অধিদপ্তরের লোকজনকে  বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন সময় কার্যালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় মাদকের কুফল ও প্রভাববিস্তার রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালান তারা। এছাড়া  বিভিন্ন স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের মাদকদ্রব্য নিয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তারা। এসবের পাশাপাশি এত কম জনবল নিয়ে মাদক উদ্ধার ও আইনী প্রক্রিয়া চালানো দুঃসাধ্য বলে মনে করেন কুমিল্লা কার্যালযের উপ-পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন।