ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিল্লায় হলুদ চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষক

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২০  

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সীমান্তবর্তী নোয়াপাড়া গ্রামে কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকেরা হলুদ চাষে ঝুঁকছেন। সরেজমিনে এ তথ্য পাওয়া গাওয়া গেছে। 

কৃষকেরা জানান, এ গ্রামের মাটি হলুদ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। গ্রামটি অনেকের কাছে হলুদের গ্রাম নামেও পরিচিত। হলুদ চাষ করে সফল হচ্ছেন তারা।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর সদর দক্ষিণের লালমাই, নোয়াপাড়া, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া মিলিয়ে মোট ১৯০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে ডিমলা, বারি ও স্থানীয় উন্নত জাতের হলুদ বেশি চাষ করা হয়েছে।  

সূত্র আরো জানায়, হলুদ রোপণ শেষে অন্তত আট মাস অপেক্ষা করতে হয়। এ আট মাস খেতে নিবিড় পরিচর্যা করলে ভালো ফলন হবে। 

জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ প্রান্তরজুড়ে শুধু হলুদ গাছ। খেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। 

কৃষক জহির জানান, গত কয়েক বছর ধরে নোয়াপাড়া এলাকায় হলুদ চাষে বেশি ঝুঁকছেন কৃষকেরা। তার কারণ হলুদ চাষের জন্য নোয়াপাড়ার মাটি বেশ উপযোগী। হলুদের দামও ভালো পাওয়া যায়। কম বিনিয়োগে বেশি মুনাফা লাভ করা যায়।  

তিন বছর আগে নোয়াপাড়া এলাকায় প্রথম হলুদ চাষ শুরু করেন কবির হোসেন। তিনি প্রথমে ১২ শতক জমিতে হলুদ চাষ করেন। পরে কবির হোসেনের মাধ্যমে নোয়াপাড়া এলাকায় হলুদ চাষের প্রচলন শুরু হয়।

হলুদ চাষি কবির হোসেন বলেন, আমি এ বছর ৬২ শতক জমিতে হলুদ চাষ করেছি। গত জৈষ্ঠ্য মাসে  খেতে হলুদ চাষ করেছি। আগামী মাঘ কিংবা পৌষ মাসে ফলন পাব। এ সময়টুকুতে সবমিলিয়ে আমার ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে। ফলন ভালো হলে সব খরচ বাদ দিয়ে অন্তত ৫০-৬০ হাজার টাকা মুনাফা হবে। 

তিনি আরো বলেন, আল্লাহর রহমতে হলুদ চাষ করে আজ আমি স্বাবলম্বী। হলুদ চাষে অপেক্ষাকৃত খরচ কিছুটা কম আবার মুনাফা বেশি। তিনি হলুদ চাষে অন্য কৃষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন হলুদ চাষ বেশি করে পথিকৃৎ কুমিল্লাকে সারা দেশের কাছে নতুন করে পরিচিত করে তুলি। 

নোয়াপাড়া এলাকার চাষি শাহ আলম জানান, হলুদ চাষের জন্য সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। সহযোগিতা পেলে হলুদ চাষে উৎসাহ পেতেন স্থানীয় কৃষকেরা। এতে জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হতো। 

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সুরজিৎ চন্দ্র দত্ত জানান, কৃষি বিভাগ সব রকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। কোনো কৃষক যদি মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে ঋণ সহযোগিতা চায় তাহলে শতকরা ৪ ভাগ সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। এছাড়া কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতার পাশাপাশি যে কোনো প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর প্রস্তুত রয়েছে।