ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

গর্ভপাত ঘটানোর জন্য দায়ী যেসব খাবার

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

গর্ভধারণ একজন নারীর জীবনের সবচেয়ে খুশির মুহূর্ত। কথায় আছে, মাতৃত্ব নারী জীবন সার্থক ও পরিপূর্ণ করে। এসময় খুশির পাশাপশি কিছুটা ভয়ও কাজ করে মায়ের মনে। 

জানেন কি? প্রথম প্রেগন্যান্সিতে মিসক্যারেজ বা গর্ভপাতের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। শারীরিক জটিলতার বাইরে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটা হয়ে থাকে অনভিজ্ঞতার কারণে। নতুন মায়েদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। তাই এসময় অন্যসব কিছুর পাশাপাশি খাবারের ব্যাপারে থাকতে হবে বেশি সাবধান। 

এসময় সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য মাকে যেমন অনেক পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে আবার কিছু খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ কিছু খাবার আছে, যেগুলো গর্ভবতী মায়েদের জন্য এতটাই ঝুকিপূর্ণ যে গর্ভপাত পর্যন্ত ঘটে যেতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম চার মাস এসব খাবার একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত।   

কাঁচা ডিম
প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে এসময় ডিম রাখা বাধ্যতামূলক। তবে এক্ষেত্রে কাঁচা বা অর্ধেক সিদ্ধ ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচা ডিমে আছে সালমোনেলা নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার। যা জ্বর,বমি বমি ভাব, ডায়রিয়ার মত রোগের কারণ হতে পারে। ডিম ভালভাবে রান্না করে খেতে হবে যাতে ব্যাকটেরিয়ার ধবংস হয়ে যায়। 
  
অর্ধেক রান্না করা চিংড়ি   
বাইরে দোকানে বা রেস্তোরাঁয় রান্না হওয়া চিংড়ি মাছ খাবেন না। স্বাদ ও গন্ধ বজায় রাখার জন্য এসব জায়গায় চিংড়ি মাছ ভালো করে সেদ্ধ করা হয় না। এমনকি ঠিকমতো পরিষ্কার করাও হয় না। চিংড়ি মাছ প্রোটিন ও ওমেগা-৩ র ভালো উৎস। তবে আধাসেদ্ধ চিংড়ি মাছ গর্ভবস্থায় পেটের সমস্যা হতে পারে। চিংড়ির মতো অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ অর্ধেক রান্না করে খেলে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে রক্ত দূষিত হয়ে যেতে পারে। এতে গর্ভপাতের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।   
  
কাঁকড়া
অনেকে কাঁকড়া খেতে পছন্দ করেন। এটা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম। তবে গর্ভবতী মায়েদের কাঁকড়া খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এটি জরায়ু সংকুচিত করে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ঘটায়। এছাড়া এতে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল রয়েছে। এটিও গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

অপ্রাস্তুরিত  দুধ  
অপ্রাস্তুরিত দুধে অনেক রকম ক্ষতিকর মাইক্রোবস থাকতে পারে। যা আপনার ও গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় দুধ প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। প্রতিদিন সকালে বা রাতে এক গ্লাস দুধ খেতে হবে। তবে খাওয়ার আগে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। 

অপ্রাস্তুরিত ফলের রস
ফ্রেস জুস বা অপ্রাস্তুরিত ফলের রসেই কোলাই, সালমোনেলা নামক কিছু ব্যাকটেরিয়ার থাকে। যা গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। 
 
কাঁচা বা আধা সিদ্ধ মাংস

কাঁচা বা আধা সিদ্ধ মাংস খাওয়া যাবে না। এমন কি প্যাকট জাত মাংসের খাবার যেমন সসেজ, সালামি, পেপারনি ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ১৪৫ ডিগ্রী তাপমাত্রায় মাছ, মাংস রান্না করতে হবে। 

প্রাণীর কলিজা 
কলিজায় ভিটামিন-এ ভরপুর রয়েছে। তবে গর্ভের শিশুর জন্য এটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ একটি খাবার। মাসে এক বা দুইবার খেলে হয়তো বেশি ক্ষতি হবে না। তবে ভ্রুণের স্বাস্থ্যের জন্য এটি এড়িয়ে যাওয়া উত্তম।
 
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা চুল, ত্বক এবং হজমের জন্য খুবই কার্যকরী একটি হারবাল উপাদান। তবে গর্ভাবস্থায় অ্যালোভেরার জুস একদমই খাওয়া যাবে না। এটি গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।
 
কাঁচা সবজি   
এসময় কাঁচা সবজি খাবেন না। সবজি ভালো করে ধুয়ে, ঠিকমতো রান্না করে তবেই খান। কাঁচা সবজিতে বিভিন্ন প্যারাসাইট বা পরজীবী ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা আপনার এবং গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। বাজার থেকে কাটা ফল বা সবজি কোনোভাবেই কিনে আনবেন না। ফল বা সবজি অনেকক্ষণ কাটা থাকলে অক্সিডেশনের কারণে তার গুণাগুণ কমে যায় আবার ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ভয়ও বাড়ে। গোটা ও তাজা সবজি কিনে আনুন এবং ভালো করে রান্না করে তবেই খান।

অ্যালকোহল  
যারা গর্ভবতী আছেন, তারা একদমই অ্যালকোহল গ্রহণ করবেন না। এটি আপনার অনাগত সন্তানের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন ব্রেইন, নার্ভ ইত্যাদি তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে। শুধু অ্যালকোহল নয়, যেসব খাবারে অ্যালকোহল থাকে তা খাওয়া থেকে ও বিরত থাকতে হবে।
 
কফি 
কফিতে ক্যাফিন নামক উপাদান থাকে। যা অতিরিক্ত পান করার ফলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিদিন ২০০ মি.গ্রা এর চেয়ে কম ক্যাফিন খাওয়া যেতে পারে। এক কাপ কফিতে থাকে ৯৫ মিঃগ্রা ক্যাফিন আর এক কাপ চায়ে থাকে ৪৭ মি.গ্রা ক্যাফিন।   

পেঁপে
কাঁচা বা পাকা পেঁপে গর্ভবতী নারীদের জন্য অনেক ক্ষতিকর। কাঁচা পেঁপেতে ল্যাকট্রিক্স নামক একটি উপাদান আছে যা গর্ভপাতের মত ঘটনা ঘটাতে পারে।

আঙ্গুর
গর্ভকালীন অবস্থায় আঙ্গুর খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। আঙ্গুর পাকস্থলীকে গরম করে। ফলে এ থেকে ডায়রিয়ার মতো রোগ হতে পারে। তাই পছন্দের এই ফলকে ৯ মাসের জন্য দূরে রাখুন। 

আনারস
গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে আনারস। প্রথম তিন মাসে আনারস, আনারসের চাটনি খেলে গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি বহু গুণ বেড়ে যায়। গর্ভবতীদের মধ্যে আনারস খেয়ে ডায়েরিয়া বা অ্যালার্জি হওয়ার উদাহরণও দেখা যায় প্রচুর। 

সতর্কতা: এসময় যেকোনো খাবার ওষুধ বা যেকোনো ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিয়মিত ডাক্তারের চেকআপে থাকুন।