চটপটি খেয়ে হাসপাতালে ৩০ শিক্ষার্থী

চটপটি-ফুচকা খেয়ে বমি করতে করতে ৩০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার কুমিল্লার লালমাই উপজেলার শাকেরা আর এ উচ্চ বিদ্যালয়ের এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার সকালে স্কুল আঙিনায় বসা ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চটপটি-ফুচকা খায় শিক্ষার্থীরা। ক্লাস শুরু হওয়ার পর একে একে অসুস্থ হতে শুরু করে তারা। অসুস্থ সবাই ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী। তার মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির ৫জন, সপ্তম শ্রেণির ১৫ জন, ৯ম শ্রেণির ২জন এবং দশম শ্রেণির ৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। 

অসুস্থদের স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় চার চটপটি দোকানদেরকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন, লাল উপজেলার জালগাঁও গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে আবুল হাসেম, সদর দক্ষিণ উপজেলার কলোমিয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আব্দুল হক, মনোহরগঞ্জ উপজেলার পোমগাঁও গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে ইসমাইল হোসেন, কোতোয়ালী থানার দুলাল মিয়ার ছেলে রাব্বি।

শাকেরা আর এ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ উল্লাহ বলেন, সকালে হঠাৎ করে কয়েকজন ছাত্রী বমি করতে শুরু করে। এভাবে একে একে আরো কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চার চটপটি দোকানদারকে আটক করে আমরা তাৎক্ষণিক ইউএনওকে অবগত করি। তিনি লালমাই থানার ওসিকে ফোর্সসহ পাঠিয়ে চার চটপটি দোকানদারকে গ্রেফতার করেন। 

লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আলী বলেন, খালি পেটে বাসি খাবার খাওয়ার ফলে এমনটি হতে পারে। তবে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন। 

লালমাইয়ের ইউএনও কে. এম ইয়াসির আরাফাত বলেন, চটপটি দোকানিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অসুস্থদের লাকসাম ও কুমিল্লার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।