ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুরবস্থা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৯  

চান্দিনার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তারদের দায়িত্ব পালনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সময়মত চেম্বারে আসেন না তারা। এতে রোগীরা সময়মত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ডাক্তারদের চেম্বারে থাকার নিয়ম থাকলেও সরকারি ওই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের মনমত সময়ে হাসপাতালে আসেন তারা। এদিকে হাসপাতাল ঘিরে গড়ে উঠা প্যাথলজির কর্মী ও দালালদের দৌরাত্ম্যে সঠিক সেবা বঞ্চিত ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ রোগীরা। হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্যাথলজিতে স্বল্প মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকলেও কমিশনের লোভে বেশিরভাগ ডাক্তারই রোগীদেরকে বাহিরের প্যাথলজিতে পরীক্ষার করার পরামর্শ দেন বলেও অভিযোগ উঠে।

রোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করে পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সকাল ১০টা পর্যন্ত মেডিকেল অফিসার ডা. আমেনা বেগম, সহকারী সার্জন ডা. মো. আরিফুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমা আক্তার রবি’র চেম্বার তালাবদ্ধ ছিল। স্যাকমো ডা. মো. আবু কাউছারও সকাল ১০টার পরে কর্মস্থলে আসেন। চেম্বারের সামনে ডাক্তার না পেয়ে খালি টিকিট নিয়ে রোগীদের ভিড় করতে দেখা গেছে।

ভুক্তভোগী উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের ওসমান গণি জানান, ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ। সকাল ৯টায় টিকিট কেটেছি। প্রায় সোয়া এক ঘন্টা অপেক্ষা করে ডা. নাজমা আক্তার রবি’কে দেখাতে পেরেছি। হাসপাতালে ডাক্তাররা সময় মতো আসে না।’
পৌরসভার বেলাশ্বর গ্রামের রহিমা আক্তার জানান, ‘আমার মা, ভাই ও আমি নিজেও অসুস্থ। সকাল থেকে অপেক্ষা করে ১০টার পর ডাক্তার দেখাতে পেরেছি।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যাকমো মো. আবু কাউছার বলেন- ‘আমি সকাল ৮টায়ই হাসপাতালে গিয়েছি। আমাদের তিন সিফটে ডিউটি করতে হয়। ইমারজেন্সিতে দেরি করার সুযোগ নেই।’

এ ব্যাপারে মেডিকেল অফিসার ডা. আমেনা বেগম সময়মত না আসার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন- ‘আজকে রাস্তায় একটু দেরি হয়ে গেছে। আর আউটডোর মূলত সকাল সাড়ে ৯টা-১০টা থেকেই চালু হয়। আমরা প্রতিদিন অনেক রোগী দেখি। ডাক্তার কম থাকায় রোগীদের চাপ বেশি থাকে। এমনও দিন যায় ৮০-৯০ জন রোগী দেখতে হয়। আল্লাহর রহমতে কোন সমস্যা হয় না।’

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহসানুল হক জানান, ‘আসলে সকালে এসে আমাদের কিছু কাজ থাকে। রাউন্ডে গিয়ে রোগী দেখতে হয়, ছুটি দিতে হয়। হাজিরার কিছু কাজ থাকে। বায়োমেট্রিক হাজিরার কারণে ফাঁকি দেওয়া সুযোগ নেই। কোন ডাক্তার লেইট করলে মেশিনই বলে দিবে।’