ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জনতার ডাক্তার ফজলুর রহমান

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২০  

ডা. মো. ফজলুর রহমান। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। চান্দিনা, দাউদকান্দি, মতলব ও চাঁদপুরে অত্যন্ত পরিচিত নাম। ১৯৭১ সালে লড়াই করেছেন দেশ মাতৃকাকে শত্রুর হাত থেকে মুক্তির জন্য। বর্তমানে তিনি করোনা পরিস্থিতিতে সব প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন মানুষের রোগ মুক্তির জন্য।

সর্বশেষ কর্মস্থল স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। উপ-পরিচালক হিসেবে প্রায় ৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর গত ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অবসরে যান। সেখানে কর্মরত অবস্থায় তিনি ডেঙ্গু, মেলেরিয়া, কালাজ্বর, ফাইলেরিয়া, রেবিস ও সংক্রামক রোগের জাতীয় গাইডলাইন তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। 

উক্ত গাইড লাইনের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করাসহ এসব রোগের চিকিৎসা সেবার দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এর আগে তিনি চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে সফলতার সঙ্গে প্রায় ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন। 

চান্দিনা থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় অফিস শুরু করেন। অফিস শেষে সপ্তাহে ৪ দিন করে চান্দিনায় গিয়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস ও রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত চেম্বার করছেন অদ্যাবধি। 

প্রায় সব রোগে আক্রান্তদের সাধ্যানুযায়ী চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২৬ এপ্রিল থেকে চান্দিনায় প্রতিদিন রোগী দেখছেন তিনি। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ থাকায় গত কিছুদিন ধরেই তিনি সরকারি হাসপাতাল রোডের মাতৃ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

তার মতো অনেক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক এবং অন্যত্র চাকরিতে নিয়োজিত চিকিৎসকরা চান্দিনায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ব্যক্তিগতভাবে চেম্বার খুলে রোগী দেখে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে চান্দিনার বেশিরভাগ চিকিৎসকরাই প্রাইভেট প্র্যাক্টিস বন্ধ করে দিয়েছেন। 

কেউ নিজের স্বাস্থ্যের অযুহাত দেখিয়ে আবার কেউ কেউ গণপরিবহন বন্ধের অজুহাতে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে মানুষের ধারণা করোনা সংক্রমণের ভয়েই ডাক্তাররা রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।

এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও রোগীদের সেবা দেয়া অব্যাহত রেখেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. ফজলুর রহমান। ঢাকার আদাবরের বাসা থেকে চান্দিনায় আসা-যাওয়া করা কষ্টের। তাই চান্দিনার মোকাম বাড়ি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন এবং নিয়মিত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। 

এদিকে ২০১৪ সালে নিজ বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার বাগান বাড়িতে ‘ডক্টরস কর্ণার ও বাগানবাড়ী ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে একটি চ্যারিটেবল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। সেখানে প্রতি সপ্তাহে ২ দিন রোগীদের সেবা দেন তিনি। গরীব, দুস্থ ও অসহায়দের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন দীর্ঘ ৬ বছর ধরে। একই সঙ্গে বিনামূল্যে ওষুধও সরবরাহ করে থাকেন। 

এই সংস্থাটি পরিচালনার জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন তার মামা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম-পরিচালক ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডা. এমএ মান্নান।

 অপরদিকে মতলব উত্তর উপজেলায় নিজের পৈত্রিক ভিটে থেকে ৫ শতাংশ ভূমি  বাংলাদেশ সরকারকে দান করেছেন ডা. মো. ফজলুর রহমান। সেখানে সরকারিভাবে গড়ে উঠেছে খাগুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক। ওই ক্লিনিকে সরকারিভাবে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

এ ব্যাপারে ডা. মো. ফজলুর রহমান বলেন- ৭১ এর চেতনা হৃদয়ে ধারণ করেই মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার দায়িত্ববোধ থেকে এই দুর্দিনে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আমৃত্যু এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।