ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ঢাবির ‘কার্বন কপি’ হবে সাত কলেজ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২০  

অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজকে নিজেদের ‘কার্বন কপি’ বানানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এজন্য ঢাবিতে প্রচলিত প্রতিটি পাঠ পদ্ধতি ও নিয়ম-কানুন সাত কলেজেও প্রচলন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতি, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ইনকোর্স-মিডটার্ম, থিসিস, রিসার্চ ও এক্সপেরিমেন্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে সাত কলেজেও পাঠ্যক্রম সাজানো হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে কলেজগুলোর শিক্ষকদের শিক্ষাদানের মানও। 

ঢাবি শিক্ষক শিবলী রুবাইয়েত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে সাত কলেজের মান বাড়াতে হবে। আমি অবশ্যই তাদের পেছনে ফেলে আগাবো না। এজন্য অধিভুক্ত এসব কলেজের শিক্ষা পদ্ধতি পাল্টে দিতে সুদূরপ্রসারী কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে সবার মঙ্গল হবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এরই মধ্যে সাত কলেজে নিজেদের বেশ কয়েকটি নিয়ম বাস্তবায়ন করা শুরু করে দিয়েছে। এরমধ্যে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই ঢাবির নিয়মে অধিভুক্ত সাত কলেজে ক্লাস করার নোটিশ জারি করা হয়েছে। 

ঢাবি কর্তৃপক্ষ জানায়, সাত কলেজেও ক্লাসে ৬০-৭৪ শতাংশ উপস্থিত থাকলে শিক্ষার্থী নন-কলেজিয়েট হিসেবে গণ্য করা হবে। আর ৬০ শতাংশের কম উপস্থিত থাকলে শিক্ষার্থী ডিস-কলেজিয়েট হবেন। এজন্য শিক্ষার্থীদেরকে গুনতে হবে ক্ষতিপূরণ।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে।

যেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিতি ৬০-৭৪ শতাংশের মধ্যে আছে সেইসব শিক্ষার্থীকে ‘নন-কলেজিয়েট’ শিক্ষার্থী হিসাবে গণ্য হবে এবং ‘নন-কলেজিয়েট’ ফি প্রদান করতে হবে।

এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিতি ৬০ শতাংশের কম আছে সেইসব শিক্ষার্থীকে ‘ডিস-কলেজিয়েট’ শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য হবে। ‘ডিস-কলেজিয়েট’ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, কলেজের বিভাগ কর্তৃক ভেরিফাই করার সময় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির শতকরা হিসাব উল্লেখ করতে হবে এবং উপস্থিতি পত্রের হার্ডকপি স্ব-স্ব বিভাগে সংরক্ষণ করতে হবে। আর নন-কলেজিয়েট ফি দিতে হবে ১৫০০টাকা। এ ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা দিতে হবে।

অধিভুক্ত ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ নেহাল আহমেদ বলেন, আমরা অবশ্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে শিক্ষা প্রদান করতে চাই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যে পরিবর্তনগুলো আনা হচ্ছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। ঢাবির প্রতিটি নিয়ম যদি সাত কলেজে চালু করা যায়, তাহলে অধিভুক্ত কলেজগুলোকে কেউ আর আলাদা ভাবতে পারবে না। শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠবে না। 

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আখতারুজ্জামান বলেন, সাত কলেজকে ঢাবি মানে উন্নীত করার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আমরা সেটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করছি। এবছরের মধ্যেই সাত কলেজের শিক্ষা মান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমপর্যায়ে উন্নীত হবে।