দলিল লেখকের বহিস্কারাদেশে রেজিষ্ট্রার অফিসে আবেদন

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সদস্য ও দলিল লেখক হান্না মিয়া সনদ নং-৩৯ কে, সমিতির করা ৬ মাসের বহিস্কারাদেশ বহাল রাখতে গতকাল রবিবার বেলা ১১টায় সাব-রেজিষ্ট্রার বরাবর আবেদন করেছে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৫ জন সদস্য। এ সময় আবেদনটি সাব-রেজিষ্ট্রার ফরিদা আক্তার গ্রহণ করেছেন। 

আবেদন সূত্রে জানা যায় হান্না মিয়া গত মাসের ৩১ অক্টোবর দলিল লেখক কার্যালয়ে সমিতির অপর সদস্য আমিনুল হক সিকদার সনদ নং-২৯ কে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে কার্যালয়ের নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে। এক পর্যায় আমিনুল হককে প্রাণনাশের চেষ্টা করে। 

এ ঘটনায় ওই দিন বিকালে দলিল লেখক সমিতি জরুরী মিটিং বসে উপস্থিত সকলে ঘটনাটি আলোচনা পর্যালোচনা করে হান্নান মিয়াকে ৬ মাসের জন্য দলিল রেজিষ্ট্রার সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। 

এ বিষয়ে হান্নান বলেন দলিল লেখক আমিনুল হক ৬ জন ওয়ারিশের মধ্যে ২ জনকে বাদ দিয়ে ৪ জনের ওযারিশ সনদ দিয়ে দলিল করেছে, বিষয়টি আমি সাব-রেজিষ্টারকে জানালে এ নিয়ে দুই জনের বাকবিতন্ডা হয়েছে মাত্র। 

তিনি আরো বলেন সমিতির সভাপতি মেহেদি হাসান সেলিমের বাড়ী এবং আমার বাড়ী একই গ্রামে হওয়ায় তাহার সাথে গ্রামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মতবিরোধ চলে আসছে তারই জের ধরে ওনি সভাপতির প্রভাব খাটিয়ে আমাকে সমিতি থেকে বহিস্কার করেছে তবে আমি এখনও কোন বহিস্কারপত্র পাইনি। 

এ দিকে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মেহেদি হাসান সেলিম বলেন হান্নান দলিল লেখকের লাইসেন্স পাওয়ার পর থেকে কার্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করাসহ সকলের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছে এবং কিছুদিন আগে হান্নান বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে দলিল লেখক আমিনুল হককে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। 

এ ঘটনায় ওই দিনই সমিতির সকল সদস্য জরুরী মিটিং এ বসে তাকে সমিতি থেকে বহিস্কার করেছে। এ দিকে সাব-রেজিষ্ট্রার ফরিদা আক্তার এর নিকট বহিস্কারের বিষয়টি জানতে তাহার ব্যবহৃত মোবাইলে একাদিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।