ব্রেকিং:
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া
  • শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দাউদকান্দিতে বেসরকারী হাসপাতালের আয়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৩  

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ফাতেমা আক্তার(২৮) নামে এক বেসরকারকারী হাসপাতালের আয়ার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্বজনরা বলছে হাসপাতাল মালিকের স্ত্রীর মারধরের কারনে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

ফাতেমা আক্তার উপজেলার ইছাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুন খানের মেয়ে। সে ইছাপুর এলাকার ইবরা ডিজিটাল ডায়গনস্টিক এন্ড মেডিকেল সেন্টারে আয়া পদে কাজ করতেন।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন বছর আগে ফাতেমা আক্তার ইবরা ডিজিটাল ডায়গনস্টিক সেন্টার হাসপাতালে আয়ার কাজ নেন । গত বুধবার(৭জুন) মালিকের পাঁচ বছরের মেয়েকে পাশের স্কুল থেকে আনার সময় অটোরিক্সার সাথে ধাক্কা খায়। এজন্য মালিকের স্ত্রী ফাতেমাকে মারধর করায় পরদিন বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কাজে যায়নি ফাতেমা ।

পরে শুক্রবার ( ৯ জুন) আসমা নামে হাসপাতালের আরেক কর্মচারীর ফোন করলে কাজে যায় সে। ওইদিন বিকালে ইবরা হাসপাতাল থেকে ফাতেমার ছোট ভাই আরাফাতকে আবার ফোন করে যে, আপনার বোন অসুস্থ, তাকে নিয়ে যান । পরে ফাতেমার স্বজনরা তাকে বাড়ীতে নিয়ে যান এবং পরদিন শনিবার(১০ জুন) দুপুরে বমি করায় দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রবিবার ১১জুন দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ফাতেমার ছোট ভাই আরাফাত বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমি ইবরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার বোন অসুস্থ, তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে বলে বমি করেছে, আমরা ইনজেকশান দিয়েছি, বাড়ীতে নিয়ে যান ভালো হয়ে যাবে। বাড়ীতে আনার পর কয়েকবার বমি করে। পরে শনিবার গৌরীপুর (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করি। অবস্থা খারাপ দেখে রাত দেড়টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠায়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার(১১জুন) বিকাল ৩টার দিকে মারা যায়।

ইবরা ডিজিটাল ডায়গনস্টিক এন্ড মেডিকেল সেন্টারের মালিক কাউসার আলম জানান, বাচ্চাকে স্কুল থেকে আনার সময় দুর্ঘটনার কারনে আমার স্ত্রী তাকে কোন মারধর করনি, শুধু বকাবকি করেছে। এরজন্য সে বৃহস্পতিবার কাজে আসেনি। পরদিন শুক্রবার কাজে আসলে বিকালে অসুস্থতাবোধ করলে ওর ভাইকে খবর দিয়ে বাড়ীতে পাঠানো হয়। আমার এখানে তাকে কোন ধরনের ওষুধ বা ইনজাকশান দেওয়া হয়নি। পরে শুনছি ঢাকা মেডিকেল নেয়ার পর মারা গেছে।

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় ৯৯৯ ফোন পেয়ে আমরা নিহত ফাতেমার বাড়ীতে যাই। তার স্বজনদের বক্তব্য শুনে মরদেহ থানায় নিয়ে আসি। আর মৃত্যু নিয়ে কোন রহস্য আছে কিনা ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।