ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও যাচ্ছে কুমিল্লার বাটিক কাপড়

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৫ মে ২০১৯  

কুমিল্লার বেশ কয়েকটি গ্রামে যুগ যুগ ধরে তৈরি হচ্ছে বাটিক কাপড়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিতা বজায় রাখা আর ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে সুতি কাপড়ে মোম ব্যবহার করে নিত্য নতুন ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন স্থানীয় কারিগররা।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহের পাশাপাশি দেশের বাইরেও যাচ্ছে এসব কাপড়।
কুমিল্লার বাটিক ব্যবসায়ী চন্দন দেব রায় জানান, বাটিক কাপড় তৈরি হয় সম্পূর্ণ হাতে। কাঠের প্লেটে খোদাই করে নকশা তৈরি করা হয়। পরে মোমের ব্লক দিয়ে কাপড়ে ফুটিয়ে তোলা হয় হরেক রকম ডিজাইন। গুণগত মানও হয় ভালো।
‘বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লার বাটিক শিল্প, খদ্দরের পাশাপাশি বাটিক শিল্প শ্রী বৃদ্ধি পাচ্ছে সারা বাংলাদেশে। সরকারি সহায়তা পেলে বাটিক শিল্প বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বে সমাদৃত হবে, বলেন চন্দন দেব।
তিনি আরো বলেন, কুমিল্লার সুঁতির বাটিক কাপড়ের চাহিদা রয়েছে পুরো বছর জুড়ে। আরামদায়ক এ কাপড়টির আরো প্রসার ঘটাতে প্রয়োজন সরকারি সহযোগিত। তাহলেই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সুনাম কুড়াবে বাটিক।
কুমিল্লায় খদ্দর কাপড়ের পাশাপাশি বাটিক কাপড়ও জনপ্রিয় হয়ে উঠে বেশ কয়েক বছর আগ থেকেই। কালের আবর্তে খদ্দর কাপড়ের চাহিদা কিছুটা কমলেও বাটিক রয়েছে স্ব-গৌরবে।
জেলার সদর উপজেলার কমলপুর ও সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা গ্রামে বাটিক কাপড় তৈরি হচ্ছে স্বাধীনতার বহু আগ থেকে। দু’টি গ্রামে ১৫টিরও বেশি বাটিক কারখানা রয়েছে। শাড়ী, থ্রী পিস, বিছানার চাদর, ওড়না, প্রিন্ট কাপড়সহ হরেক রকম কাপড় তৈরি হয় গ্রামটিতে।
বাটিক কারিগর রাসেল হোসেন বলেন, বাটিক কাপড়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এর বিপুল চাহিদা রয়েছে। তাই তারাও কাজে ব্যস্ত থাকছে। এতে মজুরীও ভালো মিলছে।
দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা গ্রামের বাটিক কাপড় ব্যবসায়ী সিরাজুল কাদের বলেন, এখন দিনরাত চলছে কাপড় তৈরির কাজ। চাহিদা থাকায় উৎপাদনও বেশ ভালো। কারিগররাও লাভবান হচ্ছে। ভালো মজুরী পায় তারা।
সরকারি সহযোগিতা পেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাটিক কাপড় রপ্তানি করা যাবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।