নাঙ্গলকোটে বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও যুবলীগ নেতাকে মারধর

কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ-লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে নির্বাচনী সহিংসতায় দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় কয়েকটি মাইক্রোবাস ভাঙচুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে শরীফুল ইসলাম নামে এক যুবলীগ নেতা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় একদল যুবলীগ কর্মী উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বেতাগাঁও গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় ও যাতায়াতে বাধা দেয়। এতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধায় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ ঘটনার জের ধরে হেলমেট পরিহিত একদল যুবদলের কর্মীরা বেতাগাঁও গ্রামের শফিকের বাড়ি ও দোকানে আগুন ও জালালের বাড়ি ও দোকানে আগুন এবং শাহীন নামে এক ব্যক্তি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

এছাড়া মাও. ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একই সময়ে রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের ইলেকশান বাজারে হালিমের দোকান, জয়নাল নামে এক ব্যক্তির হার্ডওয়্যার দোকান, মঘুয়া গ্রামের শাকের নামে এক ব্যক্তির দোকান ও শামছু উদ্দিনের মার্কেটে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, কিছু ঘর-দোকানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।