পদ্মাসেতুর বাস্তবতায় বাকরুদ্ধ বিএনপি নেতারা

দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া পদ্মাসেতুর বাস্তবায়ন নিয়ে এক সময়ে কটূক্তি করেছিলেন। আর শিয়ালের পালের মতো মির্জা ফখরুলরাও মিলিয়েছিলেন সুর। বিচার-বুদ্ধি, বাস্তবতা এড়িয়ে ও সরকারের সক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মাসেতু নিয়ে নানা গুজব ও মিথ্যাচার করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে সব সমালোচনা ও চক্রান্তকে পেছনে ফেলে পদ্মাসেতুর আজ শতভাগ দৃশ্যমান।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাসেতুর বাস্তবতায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বিএনপির নেতারা। এরই মধ্যে মুখে এঁটেছেন কুলুপ। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশেই পদ্মাসেতু নিয়ে কথা বলতে নারাজ তারা।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শুরু থেকেই পদ্মাসেতুর বিরোধীতা করছিল বিএনপি। এমনকি পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বিশ্বব্যাংকের কাছে মিথ্যা তথ্যও দেয় বিএনপি-জামায়াতের এজেন্টরা। কিন্তু শত বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু আজ বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে। পূরণ হতে যাচ্ছে কোটি কোটি মানুষের স্বপ্ন।

আর এ কারণেই পদ্মাসেতু নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করতে মির্জা ফখরুলদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। এমনকি পদ্মাসেতু নিয়ে বিএনপিকে জড়িয়ে ট্রল ও হাস্যকর মন্তব্য করা হলেও সেটিকে এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে মির্জা ফখরুলদের। 

তবে বিএনপির একটি অংশ মনে করছে, পদ্মাসেতু নিয়ে বিএনপির অবস্থান শুরু থেকে একেবারেই ঠিক ছিল না। এতো বড় একটি উদ্যোগের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে বিএনপি কার্যত দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। খালেদা জিয়ার এমন আচরণে দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপির রাজনীতি মুখ থুবড়েও পড়েছে। 

তাদের মতে, তাই বিএনপির নেতা-কর্মীরা পদ্মাসেতু নিয়ে চুপ থাকলেও জনগণ তাদের বিপরীত অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করবেই। বুদ্ধি-বিবেচনা বাদ দিয়ে খালেদা জিয়ার কথায় সায় দিয়ে মির্জা ফখরুলরা এখন জনগণের কাছে মুখ দেখাতে লজ্জা পাবেন- এটাই স্বাভাবিক।