ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে করোনা হাসপাতাল

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হার কমে যাওয়ায় দৈনিক শনাক্তের চেয়ে সুস্থ হচ্ছেন বেশি মানুষ। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে ফিরছেন স্বাভাবিক জীবনে। ফলে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে দেশের কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর শয্যা। 

গতকাল ১০ হাজার ৯০৫টি আইসিইউ ও সাধারণ শয্যার মধ্যে ৯ হাজার ৪৭৮টি (৮৬ দশমিক ২৮ শতাংশ) শয্যাতেই কোনো রোগী ছিল না। সারা দেশে হাসপাতালে ভর্তি ছিল মাত্র ১ হাজার ৪৯৬ জন করোনা রোগী। শংকটাপন্ন রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৫৮২টি আইসিইউর মধ্যে ৪৩২টিই ফাঁকা ছিল।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে হাসপাতালে রোগী ভর্তি কমতে থাকে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ফের বাড়ে। নতুন বছরে এসে সংক্রমণ দ্রুত কমে, বাড়ে সুস্থতা। ফলে দ্রুত ফাঁকা হতে থাকে করোনা হাসপাতালের শয্যা। ছয় মাস আগে গত বছরের ১৮ আগস্ট সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি ছিল ৪ হাজার ৬৬৩ জন করোনা রোগী। এর মধ্যে আইসিইউতে ছিলেন ৩৩৩ জন সংকটাপন্ন রোগী। 

এক মাস পর ১৮ সেপ্টেম্বর  হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৮৪ জনে। ১৮ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি ছিল ২ হাজার ৬৮১ জন। ১৮ নভেম্বর আবার হাসপাতালে রোগী বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৭০ জনে, ১৮ ডিসেম্বর ছিল ৩ হাজার ৪৬ জন। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ফের হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ১৭৫ জনে। গতকাল হাসপাতালে ভর্তি ছিল মাত্র ১ হাজার ৪৯৬ জন করোনা রোগী। এর মধ্যে আইসিইউতে ছিলেন ১৫০ জন। 

এদিকে নমুনা পরীক্ষায় গত ৩১ দিন টানা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। ৪ শতাংশের নিচে রয়েছে ২৪ দিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে, ৫ শতাংশের নিচে শনাক্তের হার চার সপ্তাহ বজায় থাকলে তাকে নিরাপদ সংক্রমণ বলা যায়। তখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে।

 বাংলাদেশেও কমতে শুরু করেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। সুস্থ ও মৃত রোগী বাদ দিলে গতকাল দেশে সক্রিয় করোনা রোগী ছিল ৪৪ হাজার ৭ জন। গত পাঁচ দিনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রতিদিনই নতুন রোগী শনাক্তের চেয়ে সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। গত পাঁচ দিনে দেশে মোট ২ হাজার ২ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১৬৫ জন। 

অর্থাৎ, পাঁচ দিনেই শনাক্তের চেয়ে ১ হাজার ১৬৩ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। এতে মোট শনাক্ত হওয়া সক্রিয় রোগী কমে গেছে। আর অধিকাংশ রোগী বাড়িতে অবস্থান করে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়ায় ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালগুলোর শয্যা। 

গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারের তিনটি হটলাইন নম্বরে ফোন করে কভিড-১৯-এর সেবা নিয়েছেন ৯ হাজার ৪৫৮ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৬০৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৯১ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। 

এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৭৮ জন। এ নিয়ে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৪২ হাজার ২৬৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৩২৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৩২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।