ব্রেকিং:
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া
  • শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলাদেশে খাদ্যপণ্য রফতানির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২৩  

বাংলাদেশে খাদ্যপণ্য রফতানির আগ্রহ দেখিয়েছে রাশিয়া। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবের চিঠি দিয়েছে ঢাকার রুশ দূতাবাস। চিঠিতে লাল ও হলুদ মসুরের ডাল, সয়াবিন তেল, হলুদ, বাদাম রফতানির প্রস্তাব দিয়েছে মস্কো।

রুশ দূতাবাসের চিঠিতে বলা হয়, জিটুজি ভিত্তিতে খাদ্যপণ্য রফতানি করতে চায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি প্রদিনটর্গ। সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক ও সমন্বিত মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহের আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।

এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রস্তাবনাটি পরীক্ষা-নীরিক্ষার কাজ চলছে। প্রয়োজনে অন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রদিনটর্গ হলো রাশিয়ার একমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, যা জিটুজির ভিত্তিতে খাদ্যশস্য রফতানি করে থাকে। ২০১৩ সাল থেকে কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সার এবং খাদ্যশস্য রফতানি করে আসছে।

তবে রাশিয়ার প্রস্তাব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মস্কোর ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দেশে বিদ্যমান মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি রোধে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ চলছে। রাশিয়া থেকে গম আমদানিকারক দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গমের দাম বেড়ে গেছে।

এদিকে, পাঁচ বছর আগে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশের আমদানি ছিল ৪৩ কোটি ৭১ লাখ ডলারের পণ্য। ২০২০-২১ অর্থবছরে এসে আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রথমবার উভয় দেশের বাণিজ্য শতকোটি ডলার পেরিয়ে দাঁড়ায় ১১১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এরপর থেকে প্রতিবছরই এ বাণিজ্য শতকোটি ডলারের বেশি থাকছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়ায় বাংলাদেশ রফতানি করে বস্ত্রপণ্য, চিংড়ি, পাট সুতা, চামড়া, মোটরপার্টস, হোম টেক্সটাইল, টেরিটাওয়েল, ফুটওয়্যার, সিনথেটিক দড়ি, টেবিলওয়্যার ইত্যাদি। আর রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে গম, সার, লোহা, রাসায়নিক পণ্য, প্লাস্টিক, ইস্পাত ইত্যাদি।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর মস্কোর ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এর প্রভাব পড়েছে সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জবাবে বিকল্প বাজার খোঁজার চেষ্টা করছে মস্কো। এরই অংশ হিসেবে ঢাকায় খাদ্য রফতানির প্রস্তাব দিলো রাশিয়া।