ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিপিএল ২০১৯ দ্বিতীয়বার শিরোপার স্বাদ পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

পর্দা নামল ঘরোয়া ক্রিকেটের সব থেকে জনপ্রিয় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। ঢাকা ডাইনামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে শেষ হল বিপিএলের ষষ্ঠ আসর। আর এ ম্যাচে ১৭ রানে ঢাকাকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে নিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফাইনালে হেরে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার কাছে গিয়েও ছুঁতে পারল না ঢাকা। শিরোপা পুনরুদ্ধারে এ চেষ্টাও ব্যর্থ হল ঢাকার। 

মিরপুর শের-ই- বাংলা ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে ফাইনালে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা ডাইনামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু আগে বল করে কুমিল্লাকে আটকাতে পারেনি ঢাকা। আগে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার ১৯৯ রান সংগ্রহ করে। ২০০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ওভার শেষ হওয়াতে থেমে যায় ঢাকা। আর এতে দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএল শিরোপার স্বাদ পেল কুমিল্লা।

২০১৭-১৮ সালে বিপিএলের পঞ্চম আসরের ফাইনালেও রংপুরের মুখোমুখি হয় ঢাকা। কিন্তু রংপুরের ছুঁড়ে দেয়া ২০৬ রানে জবাবে ১৪৯ রানেই থেমে গিয়ে শিরোপা হারায় ঢাকা। ৫৭ রানের জয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় রংপুর।

এদিকে, ২০১৫-১৬ তে বিপিএলের তৃতীয় আসরে মাশরাফীর নেতৃত্বে বরিশাল বুলসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথম শিরোপার স্বাদ পায় কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স।

বড় স্কোর ২০০ রানের টার্গেটে আত্মবিশ্বাসী হয়েই ব্যাট করতে নামে সাকিবের ঢাকা। থারঙ্গা ও সুনিল নারাইন জুটি হয়তো ফাইনাল ম্যাচে একটা চমক দেখাবে বরাবরের মতো। এমনটাই প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু ভাগ্য আজ সুনিল নারাইনের পক্ষে ছিল না। ওভারের দ্বিতীয় বলে থারাঙ্গার শটে রান নিতে গেলে সাইফউদ্দিনের অসাধারণ থ্রোতে রান আউট হয়ে বিপিএল শেষ করে নারাইন। এরপর রনি তালুকদার তার রূপ দেখাতে ভুল করেনি।

থারাঙ্গা ও রনির জুটিতে রান যখন দলীয় শতক পার করেছে ঠিক তখনি ঘটল অঘটন। পেরেরার বলে উড়িয়ে মারতে গেলে ক্যাচ হয়ে আবু হায়দার রনির হাতে ধরা দেন থারাঙ্গা (৪৮)। ১০২ রানেই ভেঙে যায় তাদের পার্টনারশিপ। এরপর অধিনায়ক সাকিব এসেও সুবিধা করতে পারেনি। মাত্র ৫ বলে ৩ রান করে ওহাব রিয়াজের বলে তামিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব। বেশ দূর থেকেই ছুটে এসে ক্যাচটি লুফে সাকিবকে প্যাভিলিয়নে পাঠান তামিম। তবু রানের চাকা সচল রেখেছিল রনি তালুকদার। কিন্তু ভাগ্য আর তাকে সঙ্গ দিল না। আফ্রিদির বলে রান আউট করে রনিকে (৬৬) ঘরে ফেরান এনামুল হক বিজয়।

আন্দ্রে রাসেলের উপর একটা ভরসা ছিল ঢাকার। কিন্তু আজ রাসেলও দাঁড়াতে পারল না কুমিল্লার বলের সামনে। পেরেরার বলে মাত্র ৪ রান করে ওহাব রিয়াজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ঘরে ফেরেন রাসেল। আবারো সেই ওহাব রিয়াজের বলে তামিমের হাতেই ক্যাচ হয়ে সাঁজঘরে ফেরেন কাইরন পোলার্ড (১৩)। এতে ঢাকার শিরোপার আলো নিভতে শুরু করে। দলীয় ১৪৩ রানে ক্যাচ হয়ে ফেরেন শুভাগত হোম (০)।

তবু ঢাকা যেন কিছু আশার আলো দেখছিল সোহানের ব্যাটে। কিন্তু ক্যাচ হয়ে তাকেও ফিরতে হল ১৪ বলে ১৮ রানের এক স্কোর করে। সাইফউদ্দিনের বলে ওহাব রিয়াজের হাতে ক্যাচ হলে মাহুমুদুল হাসান লিমন (১৫)। শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না পড়লেও ওভার শেষ হওয়াতে থেমে যেতে হয় ঢাকাকে। ১৮২ রানেই আটকে থাকে ঢাকার ইনিংস।

সবশেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডাইনামাইটস। আর এতে ১৭ রানের জয় নিয়ে বিপিএলের ষষ্ঠ শিরোপা নিজেদের করে নিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

এর আগে টসে হেরে শিরোপার লক্ষ্যে ব্যাট নিয়ে মাঠে নামেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস। কিন্তু শুরুটাই ভালো হল না তাদের। খেলার দ্বিতীয় ওভারে রুবেলের পঞ্চম বলে এলবি আউট হয় লুইস। দলীয় রান যখন ৯। রিভিউ নিয়েও লুইসকে বাঁচাতে পারেনি কুমিল্লা। এরপর ফেরেন এনামুল হক বিজয় ও শামসুর রহমান। বিজয় এলবিতে আউট হলেও শমাসুর রহমান ফেরেন রান আউটে। আর দু’জনকেই ফেরান ঢাকার অধিনায়ক। এরপর আর কোনো উইকেট নিতে সক্ষম হয়নি ঢাকা। তামিম ইকবাল একাই নিজের কাঁধে করে কুমিল্লাকে এনে দিয়েছেন ফাইটিংয়ের বড় স্কোর।

তামিম ইকবাল অপরাজিত থেকে ১৪১ রানের ইনিংস উপহার দেন দলকে। ১১টি ওভার বাউন্ডারি ও ১০টি বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংস। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও অপরাজিত ১৭ রানের ইনিংস খেলেন। শিরোপা জিততে ঢাকার সামনে ২০০ রানের বড় টার্গেট ছিল। কিন্তু টার্গেট অর্জন করতে ব্যর্থ হয় তৃতীয়বারের শিরোপাজয়ী ঢাকা।