ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ভাঙন ঠেকাতে হোগলার বাঁধ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২০  

চাঁদপুরে মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশত বাড়িঘর। নদীপাড়ের অনেকে শেষ সম্বলটুকু হা‌রি‌য়ে এখন দি‌শেহারা। তাই ভাঙন ঠেকাতে হোগলা পাতার বাঁধ দিয়ে বাড়িঘর বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

কয়েকদিনের মেঘনার ভাঙনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ও পাশের আলুরবাজার ফেরিঘাট এলাকা। এছাড়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ছোট একটি বাজার ও বিআইডব্লিউটিসির টার্মিনালের একাংশ। নতুন করে আবারো ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আশপাশের কয়েকশ পরিবার।

আলুরবাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন গাজী। এরইমধ্যে বয়স পেরিয়েছেন ৬০। তিনি এ পর্যন্ত পরিবার নিয়ে ১২ বার স্থান পরিবর্তন করেছেন। এরপরও নদীভাঙন তার পিছু ছাড়ছে না।

সাহাবুদ্দিন বলেন, নদী আমারে অনেকবার ভাঙছে। অনেকবার জায়গা বদলাইছি। অহন আবার ভাঙতাছে। কি করমু, বুঝতাছি না। পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপদে আছি।

তিনি জানান, তার স্ত্রী, চার ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে। আগে নদীর পূর্ব পাড়ে ছিলেন। সেখানে কয়েকবার ভাঙনের শিকার হয়েছেন। এরপর বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিলেও নদী তার সব কেড়ে নিয়েছে।

একই এলাকার ভাঙনের শিকার মো. সানাউল্লাহ হাওলাদার বলেন, বয়স অইছে বাবা। অনেকবার নদীভাঙনের শিকার অইছি। অহন ভাঙতাছে। বউ, পোলাপাইন নিয়া কোথায় যামু? আমাগো তো জায়গা কিননের মতো পয়সা নাই।

স্থানীয় বাসিন্দা রুমা বেগম ও রহিমা বেগম জানান, কয়েকদিন ধরে মেঘনা নদীতে সব তলিয়ে যাচ্ছে। অনেকের বসতঘর ও জমি বিলীন হয়ে গেছে। স্বামী, সন্তান নিয়ে চিন্তার মধ্যে পড়েছেন তারা।

নদীভাঙনের শিকার আব্দুল মান্নান ব্যাপারী বলেন, ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। স্থায়ী কোনো ঠিকানা না থাকায় মেঘনায় ভাঙনের শিকার কয়েকশ পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সফিকুল ইসলাম রাঢ়ী বলেন, ভাঙন রোধে শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে প্রাণান্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাসিন্দারা। এজন্য আশপাশের চর থেকে সংগ্রহ করা হোগলা পাতা দিয়ে ভাঙন রোধে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ইব্রাহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম খান বলেন, ২০১৬ সালে আলুরবাজার ফেরিঘাটের নৌ চ্যানেল ড্রেজিং করার পর থেকেই দক্ষিণ পাশের বিশাল এলাকাজুড়ে এ ভাঙন চলছে। তবে বর্ষা এলে এর তীব্রতা বেড়ে যায়। কয়েক দিনের ভাঙনে অনেক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছে। ভাঙনে রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাবুল আখতার বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি বস্তা ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এসব বস্তা ফেলা হবে।