ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মশা-ছারপোকার রক্ত কাপড়ে লাগলে নামাজ হবে কি না

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২২  

কাপড়ে মশা-ছারপোকার রক্ত লেগে যাওয়ার কারণে কি কাপড় নাপাক হয়ে যাবে এবং এ কাপড় পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি না? 

এমন প্রশ্নের উত্তরে ফেকাহবিদ আলেমগণ বলেন, মশা-ছারপোকার রক্ত নাপাক নয়। তা কাপড়ে লাগলে কোনো সমস্যা নেই। এতে কাপড় নাপাক হবে না। তাই কারো কাপড়ে মশা-ছারপোকার রক্ত লাগলে এমন কাপড়ে নামাজ আদায় করা জায়েজ হবে।

তবে নামাজের আগে কাপড়ে এ জাতীয় রক্ত বা ময়লা লেগে থাকার কথা জানতে পারলে যথাসম্ভব ধুয়ে নেয়া ভালো।

হজরত আবু জাফর এবং আতা রহ. মশা ও বুরগুসের (পাখাবিহীন এক প্রকার ক্ষুদ্র কীট) রক্তে কোনো সমস্যা মনে করতেন না।’ -(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ২০৩১)

যে প্রাণী কষ্ট দেয় এবং ক্ষতিকর— সেটা হত্যা করা জায়েয। কোনো প্রাণী যদি কষ্টদায়ক এবং ক্ষতিকর হয় তাহলে সেগুলোকে হত্যা করা যাবে। (বুখারি, হাদিস : ৩০১৬; আবু দাউদ, হাদিস : ২৬৭৫)

তবে এর জন্য বিকল্প রাস্তা গ্রহণ করা যেতে পারে। বিশেষ করে এমন পরিবেশ তৈরি করাই শ্রেয়, যা মশা জন্মের প্রতিবন্ধক হয়। এতে করে প্রাণী হত্যার বিধিনিষেধ সম্ভলিত হাদিসগুলোর সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ রক্ষার হাদিসগুলোর ওপরও আমল হয়ে যাবে।

আবদুর রহমান ইবনে আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূল (সা.)-এর সফর সঙ্গী ছিলাম। তিনি তাঁর প্রয়োজনে অন্যত্র গেলেন। আমরা দুইটি বাচ্চাসহ একটি পাখি দেখতে পেয়ে বাচ্চা দুটোকে ধরে নিলাম। মা পাখিটা সঙ্গে সঙেগ্ আসলো এবং পাখা ঝাঁপটিয়ে বাচ্চার জন্য অস্থিরতা প্রকাশ করতে লাগলো। রাসুল (সা.) ফিরে এসে বললেন, কে এর বাচ্চা নিয়ে এসে একে অস্থিরতায় ফেলেছে? বাচ্চাগুলো এদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দাও। 

তিনি আমাদের পুড়িয়ে দেওয়া একটা পিঁপড়ার ঢিবি দেখতে পেয়ে বললেন, কে এগুলো পুড়িয়েছে? আমরা বললাম, আমরা। তিনি বললেন, আগুনের রব ব্যতীত আগুন দিয়ে কিছুকে শাস্তি দেওয়ার কারো অধিকার নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৬৭৫)