ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সনদ ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা দাবী

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৯  

কুমিল্লায় সনদ ছাড়াই নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুক্তিযোদ্ধা দাবী করা ব্যক্তি জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের শিমাইল খাড়া গ্রামের মৃত উসমান গণির ছেলে মফিজুল ইসলাম। সনদ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে এলাকার নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন এ নিয়ে এলাকাবাসীর রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।

স্থানীয়রা জানান, মফিজুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা না। তিনি সনদ বানানোর জন্য চেষ্টা করছেন। তবে তার হুমকি ধমকীতে আমরা তটস্থ থাকি। স্থানীয়রা জানান, তবে মফিজুল ইসলাম নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে তিনটি মামলার বাদী হয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা দাবী করা মফিজুল ইসলামের মামলার শিকার প্রতিবেশী পালপাড়া গ্রামের মৃত মতিন ভূইয়ার ছেলে মুমিনুল ইসলাম শিবলী জানান,নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করা মফিজুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা না। কিন্তু তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে সরকারী অফিসগুলোতে দাপিয়ে বেড়ায়। তিনি নিজেকে যে সনদেও বলে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেন তা স্থানীয় একটি কম্পিউটার দোকান থেকে বানানো। এ বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যরা ভালো বলতে পারবেন।

সনদ বিহীন মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলামের আপন বড় ভাই মো: ইসমাইল হোসেন জানান, মুক্তিযোদ্ধা দাবী করা মফিজুল ইসলাম আমার আপন ছোট ভাই। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সে অনেক ছোট ছিলো। নিজেকে সে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে আমি জানি না। আমি নিজে মুক্তিযুদ্ধ করি নি। ছোট ভাইকে নিয়ে পাকিস্থানীদের ভয়ে এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি করেছি। সে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয় আমি বুঝতে পারছি না।

এদিকে শিমাইলখাড়া এলাকার তিনজন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে দু’জন মারা গেছেন। জীবিত আছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী (বিডিআর)। তিনি জানান, আমি মুক্তিযোদ্ধ করেছি। তবে মফিজুল ইসলাম একদিন আমার কাছে এসে বলে তাকে যেন আমাদেও সহযোদ্ধা হিসেবে স্বীকার করি। কিন্তু মফিজুল ইসলাম যেখানে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে নাই,সেখানে কিভাবে তাকে মুক্তিযোদ্ধা বলি। আর আমি যে সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছি সে সেক্টরে মফিজুল ইসলাম ছিলো না। এছাড়াও আমি তাকে প্রশ্ন করি তোমার প্লাটুন কমান্ডার কে,কমান্ডার কে,কোন সেক্টরের অধীন যুদ্ধ করেছো তখন সে কোন জবাব দিতে পারে নি।
অভিযোগের বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করা মো:মফিজুল ইসলাম বলেন,আমি ১৯৯৭ সালে দিকে সৌদি আরবে যাই। যে কারনে ভারতের তালিকায় আমার নামটি লিপিবদ্ধ হয় নি। বাংলাদেশের তালিকায় আমার নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পান এমন প্রশ্নের জবাবে মফিজুল ইসলাম বলেন এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা বিচারধীন। মামলা নিষ্পত্তির পরে ভাতা পাবো।

এমন অভিযোগের বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো:শাহজাহান বলেন, আমি যতটুকু জানি শিমাইলখাড়া গ্রামে মোট তিনজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের সনদ রয়েছে। তবে মফিজুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা না। তার কোন সনদ নেই। কৌশলে মফিজুল ইসলাম তার নামটি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় উঠানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। তারপরেও তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেন কিভাবে তা আমার বোধগম্য নয়