ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সবজি বেচেই চলে সংসার

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৯  

সাত সকালেই হাকডাক। কে নিবেন গো স-ব-জি। এরপর ঘরের দরজা খুললেই দেখা মেলে বয়োবৃদ্ধ আরশেদ চাচা না হলে গফুর চাচার। এভাবে চলছে প্রায় ৪০ বছরেরও অধিক সময়। তাই তারা শহরের ছোট বড় সবারই সবজি চাচা।
উভই বয়স ৮০’র কোঠা পার করেছেন। আর দুজনই সবজির বোঝা কাঁধে নিয়ে প্রতিদিন শহরের মানুষের যোগান দিচ্ছেন সতেজ পেঁপে, কুমড়া, লাউ, কলার মোচা ও থোড়, ডাটা, সজনে, কচু শাক, লাল শাকসহ গ্রামীণ বিভিন্ন শাক সবজি।

আরশেদ আলীর বাড়ি উপজেলার নিয়ামতপুর ইউপির নিয়ামতপুর গ্রামে। আব্দুল গফুরের বাড়ি জামাল ইউপির তৈলকুপ গ্রামে।

বৃদ্ধ বয়সেও কাজ করার কারণ জানতে চাইলে আরশেদ আলী জানান, এ বয়সে কেউ শখ করে পরিশ্রম করে না। কপালে ছিল তাই করছি।

তিনি আরো জানান, ছেলেরা বিয়ে করে সবাই আলাদা সংসার করছেন। তাই সংসার চালাতে অল্প কিছু চাষযোগ্য জমিতে ফসল ফলান তিনি। আর সারা বছর বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিভিন্ন শাক-সবজি কিনে শহরে নিয়ে বিক্রি করে থাকেন। এতে কোনো মতে চলে যায় তার সংসার । এভাবে চলছে প্রায় ৪৫ বছর।

আরশেদ আলী দাবি করে বলেন, পরিশ্রমের কারনেই এখনো সুস্থ আছি। গ্রাামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষ হিসেবে বেঁচে আছি।

আব্দুল গফুর বলেন, বসত ভিটের পাশে অল্প কিছু জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক চাষ করি। আর বাকি সময় মাঠে, নদীর কিনার থেকে বা বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে বাজারের দুর্লভ কিছু শাক কিনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিক্রি করি। চাষযোগ্য কোনো জমি না থাকায় ছেলেরা পরের ক্ষেতে কামলার কাজ করে তাদের সংসার সামলায়। আর এ বয়সে কাঁধে বোঝা টেনে আমাকে সামলাতে হয় আমাদের বুড়ো-বুড়ির সংসার।

তিনি বলেন, বছর দুয়েক আগে কালীগঞ্জে ইএনওর বাসায় বিভিন্ন ধরনের শাক বিক্রি করতাম। তিনি আমার কষ্ট দেখে আমাকে বয়ষ্কভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যা এখন আমার সংসার চালাতে খুব কাজে আসছে। তার এ উপকারের কথা আমি কোনো দিন ভুলব না।

তারা দুজনেই বলেন, যে জিনিস মানুষের শারীরিকভাবে উপকারে আসে সেগুলোই আমরা ৪০-৪২ বছর ধরে বিক্রি করে আসছি। তাছাড়া মানুষ সার ছাড়া উৎপাদিত টাটকা ও বাজারের দুর্লভ শাক-সবজি আমাদের কাছে পায় বলেই শহরের বিভিন্ন মহল্লার অনেকে পরিবারের চাহিদা মেটাতে আমাদের কাছ থেকেই নিয়মিত শাক-সবজি নিয়ে থাকেন। যে কারণে শহরে বেশি সময় ঘুরতে হয় না।

আরশেদ আলীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন বলেন, এ বয়সে এমন পরিশ্রম করতে আমরা অনেক নিষেধ করেছি। কয়েকবার বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু কাজ বন্ধ করলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে এখন আর তার কাজে বাধা দেই না।

গৃহিণী কল্যাণী রানী বিশ্বাস জানান, ভোর হলেই তারা বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি নিয়ে চলে আসেন মহল্লায়। তাদের আনা টাটকা শাক-সবজি পেতে মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকেন অনেকেই।