২৫০০ টাকার অনিয়মে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার বরখাস্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্রদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর এককালীন ২৫০০ টাকা প্রদানের তালিকায় অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির আহমেদ ও মেম্বার তাহের মিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এদেরকে বরখাস্তের কথা জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হোসেন সরকার গত ১৯ মে ওই ইউনিয়নে অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর এককালীন ২৫০০ টাকার তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।

পরে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান আবেদনটি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে নবীনগরের ইউএনও মোহাম্মদ মাসুমকে নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় ইউএনও মাসুম স্থানীয় এসিল্যান্ড ইকবাল হাসান ও সমাজসেবা কর্মকর্তা পারভেজ আহমেদকে অভিযোগটির সরজমিনে তদন্ত করতে পরদিনই বীরগাঁওয়ে পাঠান।

তদন্ত দলের ওই দুই কর্মকর্তা বীরগাঁওয়ে গিয়ে দিনভর তদন্ত করে রাতেই এ বিষয়ে ইউএনও'র কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরে ওই তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনও মাসুম জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন।

পরে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি পাঠায়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই অবশেষে আজ বীরগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কবির আহমেদ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার তাহের মিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এ বিষয়ে নবীনগরের ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম প্রজ্ঞাপন জারি করার চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, 'স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালকের স্বাক্ষরযুক্ত এক প্রজ্ঞাপনে চেয়ারম্যান ও মেস্বারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন বাকী কার্যক্রম চলবে।'

প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে 'প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা তালিকায় স্বজন ও বিত্তশালীদের নাম' এবং পরদিন 'এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে তদন্ত দলের দিনভর বীরগাঁও পরিদর্শন' শিরোনামে দুটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।