ব্রেকিং:
শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
  • শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ইউরোপে পোশাক রপ্তানির পরিমাণে শীর্ষে বাংলাদেশ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০২৩  

জোটগত প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাক রপ্তানির পরিমাণে প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠে এলো বাংলাদেশ। কয়েক দশক ধরে শীর্ষ স্থানটি চীনের দখলে ছিল। ২০২২ পঞ্জিকা বছরে ইইউর ২৭ দেশে ১৩৩ কোটি কেজি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। চীন রপ্তানি করেছে ১৩১ কোটি কেজি পোশাক। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও চীনের দ্বিগুণ।

আগের বছরের চেয়ে গত বছর ইইউ জোটে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ২১ শতাংশ, যা ১২ শতাংশেরও কম চীনের। ইইউর সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা  গেছে।

পরিসংখ্যান বলছে, পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী ভিয়েতনামের অবস্থান পঞ্চম। ইইউতে মাত্র ১৫ কোটি কেজি পোশাক রপ্তানি করে দেশটি। জোটে রপ্তানির পরিমাণে তুরস্ক রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। গত বছর তুরস্কের ৪৭ কোটি কেজি পোশাক গেছে ইইউতে। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভারতের রপ্তানির পরিমাণ ২১ কোটি কেজি।

অবশ্য পরিমাণে চীনকে ছাড়িয়ে গেলেও অর্থমূল্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখনও চীনের পেছনে। পরিসংখ্যান বলছে, ইইউর দেশগুলোতে গত বছর ৩ হাজার ১৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে চীন। বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ২৮৯ কোটি ডলারের। তবে এ ক্ষেত্রে চীনের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও প্রবৃদ্ধির হিসাবে দ্বিগুণ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। গত বছর অর্থমূল্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৩৬ শতাংশ, যেখানে চীনের এ হার ১৭ শতাংশ।  ইইউতে রপ্তানিতে  সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিই সবচেয়ে বেশি।

পরিমাণে বেশি রপ্তানি সত্ত্বেও অর্থমূল্যে চীনের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকার কারণ সম্পর্কে  টিম গ্রুপের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিক সমকালকে বলেন, চীনের পোশাক খাতের ভিত্তি এখনও অনেক মজবুত। চীনের বিভিন্ন টেকনিক্যাল এবং ফাংশনাল পোশাক বেশি। অন্যদিকে বাংলাদেশ এখনও মৌলিক মানের পোশাকই বেশি করে থাকে। এ কারণে পরিমাণে বেশি রপ্তানি করেও মূল্য বিবেচনায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। চীনের অবস্থানে যেতে বাংলাদেশের আরও অনেক সময় প্রয়োজন হবে। অবশ্য বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা উচ্চ মূল্যের টেকনিক্যাল পোশাক উৎপাদনে বিনিয়োগ করেছেন। এসব পোশাকের মূল্য অনেক বেশি। গড়ে ৯০ থেকে ১০০ ডলার দামে এসব পোশাক রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ধরনের উচ্চ মূল্যের পোশাক উৎপাদন এবং রপ্তানি বাড়ছে বলেই দর বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সংকটের মধ্যেও রপ্তানি বাড়ছে।

ইউরোস্ট্যাটের  পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর ইইউতে বাংলাদেশের পোশাকের মূল্য বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। চীনের পোশাকের মূল্য বেড়েছে ৫ শতাংশের কিছু কম। ভিয়েতনামের পোশাকের দর বেড়েছে ৩ শতাংশের মতো। গত বছর ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ৩ শতাংশ হারে পোশাকের দাম বেড়েছে।