ব্রেকিং:
শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
  • শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

‘এখন ওরা কী খাচ্ছে, জানি না’

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০১৯  

সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত। তারপর থেকেই সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দু'দিন আগে কাশ্মীর থেকে দিল্লিতে আসা জম্মু-কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্টের এক নেতা বলেন, আমার চার বছরের মেয়েটা এখন কাশ্মীরে আছে। 

গত ৪৮ ঘণ্টা ওর গলা শুনিনি। জানি না কেমন আছে? তিনি আরো বলেন, এই মানসিক অবস্থা শুধু আমার একার নয়, প্রত্যেক কাশ্মীরবাসীর।

গত রোববার মধ্যরাত থেকে সেখানে ফোন, টেলিভিশন, ইন্টারনেটসহ সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সে সময় কাশ্মীরেই ছিলেন তিনি।

এই নেতা বলেন, মনে হচ্ছিল, বিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপে রয়েছি। এই দেশের নাগরিক হয়ে অন্য প্রান্তের খবর জানার অধিকার নেই। সর্বত্র কারফিউ জারি রয়েছে। রাস্তায় সেনারা টহল দিচ্ছে।

তিনি বলেন, খাবারের দোকান, ওষুধের দোকান, বাজার-ঘাট সব বন্ধ। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। ধরপাকড় চলছে। আমার দল জম্মু-কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্টের অনেককেই আটক করা হয়েছে। অথচ, ভারতীয় মূল ধারার সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে, কাশ্মীরে নাকি সব স্বাভাবিক!

তিনি বলেন, আমি গত পরশু দিল্লি এসেছি। পরিবারের সবাই নিষেধ করছিল। আমার পরিবার এখন কেমন আছে জানি না। জানতাম, এমনই ঘটবে। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, কাশ্মীর থেকে বাইরে আসা জরুরি। যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন একটা শহরে বসে থাকলে ওখানকার কথা কেউ জানতে পারবেন না। তাই ঈদেও বাড়িও যাব না। ঈদ পালনও করব না।

তিনি আরো বলেন, আমার বাড়িটা বিমানবন্দরের কাছেই। সেটুকু দূরত্ব পেরোতেই নাজেহাল হতে হয়েছে। বারবার চেক পোস্টে গাড়ি দাঁড় করানো হচ্ছিল। বিমানবন্দরে পৌঁছে দেখলাম, যারা দেশের অন্য প্রান্ত থেকে কাশ্মীরের বাড়িতে ফিরছেন, তারা দাঁড়িয়ে আছেন। 

কীভাবে ঘরে পৌঁছাবেন কারো জানা নেই। কোনও গাড়িই চলছিল না। বাড়িতে জানিয়ে যে, আগাম গাড়ি আনিয়ে রাখবেন তারো কোন উপায় নেই। ফোন বন্ধ। তবে আজ থেকে নাকি ট্যাক্সি চলছে।

বাড়িতে রেশন ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। এখন ওরা কী খাচ্ছে, জানি না। যাদের বাড়িতে কেউ অসুস্থ, তাদের হাসপাতাল পর্যন্ত যাওয়ার উপায় নেই। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের নিয়ে ভয়ে ভয়ে রয়েছেন তাদের পরিবার। 

অনেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কারণ, প্রসববেদনা যখন উঠবে, তখন হাসপাতালে ঠিকঠাক পৌঁছানো যাবে কি না, তার নিশ্চয়তা নেই।