কুমিল্লায় বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া (উত্তর পশ্চিম পাড়া) গ্রামের নিজ বসত ভিটা থেকে আমেনা খাতুন (৮৫) নামে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে মৃত তালেব আলি ব্যাপারীর স্ত্রী। বুধবার দিবাগত রাতে নিহতের নিজ বসত ঘরে এ নৃসংশ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান, মুরাদনগর থানার ওসি আজিজুল বারি ইবনে জলিল।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃদ্ধা আমেনা খাতুনের ছয় ছেলে ও এক মেয়ে। প্রবাসে থাকেন দুইজন। একজন ঢাকা, আরেকজন থাকেন চট্টগ্রাম। বাকি দুই ছেলে বাড়িতে থাকেন। আট কক্ষের টিনসেট বাড়িটির পূর্বপাশের কক্ষে আমেনা খাতুন একাই থাকতেন। তার কক্ষে কয়েকটি চাল রাখার ড্রাম ছিল। ছেলে মেয়েরা খরচের জন্য তাকে যেই টাকা পয়সা দিতেন, তা তিনি ওই ড্রামে তালাবদ্ধ করে রাখতেন। তার ব্যবহৃত স্বর্ণগহনাও ছিল সে ড্রামে। ড্রামের তালা ভাঙ্গা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তার জমানো টাকা ও স্বর্ণালংকার নেয়ার সময় হয়তো দূর্বৃত্তদের তিনি চিনে ফেলেছেন, তাই তাকে এই নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের বড় ছেলে আবু ইউসুফ জানায়, বুধবার রাতে খাবার খেয়ে প্রতিদিনের ন্যায় নিজ বসত ঘরে ঘুমাতে যায় তার মা আমেনা খাতুন। বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে আমার নাতিন তানহা (০৬) সকালের খাবার খাওয়ার জন্য ডাক দিতে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। পরে ঘরে প্রবেশ করে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় আমেনা খাতুন পড়ে আছে।
মুরাদনগর থানার ওসি আজিজুল বারি ইবনে জলিল দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, ময়না তদন্ত করার জন্য লাশটি কুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার তদন্ত চলছে।
মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পীযষ চন্দ্র দাস দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, বিষয়টির অধিকতর তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে নিশ্চিত হওয়া যাবে কি কারনে তাকে খুন করা হয়েছে।
যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, স্বর্ণালংকার ও টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করাই সম্ভবত ওই বৃদ্ধ মহিলা হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে ফাঁসি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।