ব্রেকিং:
৫ম বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন পুতিন বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিল বৃষ্টি, বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ শিক্ষার্থী দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল
  • বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অনুমতি ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা নয়

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা না নিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এ বিষয়ে বিদ্যমান বিধিবিধান যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য নির্দেশনা দিয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

‘কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর সাব-সেকশন-১ এর উদ্ধৃত করে চিঠিতে বলা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেট বা কোনো সরকারি কর্মকর্তার পালনে কোনো কাজের জন্য সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো অপরাধ আমলে নেয়া যাবে না।

জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্ট, ১৮৫০ এর সেকশন-১ এ  বলা হয়েছে, কোনো জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা কালেক্টরকে তার বিচারিক প্রকৃতির কার্যক্রম বা দেয়া কোনো আদেশের কারণে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে দেওয়ানি আদালতে মামলা করা যাবে না।

চিঠিতে বলা হয়, অপরাধ প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কার্যক্রম অধিকতর কার্যকর ও গতিশীলতার সঙ্গে সম্পাদনের জন্য পরিচালিত মোবাইল কোর্টের কার্যক্রমের ‘বিষয়ে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯’ এর ১৪ ধারায় বিধান রয়েছে যে, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে করা বা করা বলে বিবেচিত কোনো কাজের জন্য কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো প্রকার আইনগত কার্যধারা রুজু করতে পারবেন না।

এছাড়া ‘কোড অব সিভিল প্রসিডিউর, ১৯০৮’ এর সেকশন-৯ এবং অর্ডার-৭ রুল-১১(ডি) এ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতে এখতিয়ার বারিত হওয়া ও আরজি খারিজের বিষয়ে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক/জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/কালেক্টর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সরকারি কর্মচারীদের সরকারি দায়িত্ব পালনের কাজের জন্য তাদের ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে মামলা রুজু করা হচ্ছে।

‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন নেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা প্রতিপালিত হচ্ছে না। এতে করে আইনের ব্যত্যয় ছাড়াও মাঠপর্যায়ে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ/দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে নদী, খাল, বিল, বন, জলাশয়সহ সরকারি সম্পত্তি ও স্বার্থরক্ষা, অবৈধ ক্ষতিসাধন/জবরদখল প্রতিরোধ ও উচ্ছেদ অভিযানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ’

চিঠিতে বলা হয়, যেকোনো সরকারি কার্যক্রম বা সিদ্ধান্তের বিষয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আইনে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়ের কিংবা প্রতিকার চেয়ে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারেন। কোনো কর্মচারীর আইনের গুরুতর অপপ্রয়োগ, এখতিয়ারবিহীন ক্ষমতা অনুশীলন কিংবা কোনো সিদ্ধান্তে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। অন্যদিকে অধস্তন আদালতগুলোর এখতিয়ার ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেটি বারিত থাকবে, তা আইন দ্বারা সুনির্দিষ্ট রয়েছে।

‘এ অবস্থায় বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট ও সরকারি কর্মচারীদের সরল বিশ্বাসে করা কাজের সুরক্ষা দেয়া সম্পর্কিত ও বিচারিক বা সরকারি দায়িত্ব পালনে করা বা এ মর্মে দাবি করা কাজের জন্য তাদের ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে ফৌজদারি মামলা আমলে নেয়ার আগে সরকারের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান যথাযথ প্রতিপালন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’