করোনা: ফেনীতে দু’দিনে নতুন শনাক্ত ১০৯ জন

ফেনীতে করোনাভাইরাসে দু’দিনে ১০৯ জন নতুন শনাক্ত হয়েছে। গত ৪৮ ঘন্টায় জেলার ৪৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন ১০৯ জনসহ শনাক্তকৃত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭১৬ জন। বুধবার বিকেলে এমন তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

স্বাস্থ্য বিভাগের এক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ RT-PCR ল্যাবে ফেনী জেলার ৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া ফেনী সদর হাসপাতালে ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭৬টি নমুনার র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে। সর্বমোট ১৩২টি নমুনা পরীক্ষায় গত ২৪ ঘণ্টায় বুধবার ফেনীতে নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী ২২ জন (পিসিআর পজিটিভ ৮, র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট পজিটিভ ১৪)। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ১৬.৬৭%।

নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৭ জন, দাগনভূঁঞায় ৩ জন, পরশুরামে ৫ জন, ছাগলনাইয়ায় ৪ জন, সোনাগাজীতে ২ জন ও পাশবর্তী উপজেলায় এক জন রয়েছে।

এর আগে সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ RT-PCR ল্যাবে ফেনী জেলার ২৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া ফেনী সদর হাসপাতালে ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৬টি নমুনার র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে। সর্বমোট ৩৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় ২৪ ঘণ্টায় মঙ্গলবার ফেনীতে নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী ৮৭ জন (পিসিআর পজিটিভ ৭৯, র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট পজিটিভ ৮)। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ২৫.৩৬%।

নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ২৫ জন, দাগনভূঁঞায় ৪১ জন, ফুলগাজীতে ৭ জন, সোনাগাজীতে ৭ জন, পরশুরামে ৫ জন ও ছাগলনাইয়ায় ২ জন রয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. রফিক উস সালেহীন জানান, ৪৮ ঘন্টায় নতুন করে ৩৯ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৭৮০ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলায় কর্মরত সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেনসহ মোট ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ফেনীতে ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। কোভিড-১৯ শনাক্ত’র সংখ্যা ১ থেকে ৫শ ছাড়াতে সময় লাগে ৭৬ দিন। পরের ৫শ ব্যক্তি সংক্রমিত হতে সময় লাগে ২৬ দিন। আর পরবর্তী ৫শ ব্যক্তি সংক্রমিত হতে লাগে ৩৫ দিন সময়। চার মাসের মাথায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১ হাজার ৫শ অতিক্রম করে।

সাত মাসের মাথায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ হাজার ও সাড়ে ১১ মাসের মাথায় সংক্রামিতের সংখ্যা ২ হাজার ৫শ অতিক্রম করে। পরবর্তী ৫শ শনাক্ত হয়ে মাত্র ১৫ দিন সময় লেগেছে। পরবর্তী ৫শ শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ২৮ দিন।

কোভিড-১৯ শনাক্ত’র ১৪ মাসের মাথায় সংক্রামিতের সংখ্যা ৪ হাজার অতিক্রম করেছে। সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার হতে (৫শ’) শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ৪০ দিন। চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ১৩ দিন। সাড়ে চার হাজার থেকে ৫ হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ৭ দিন। ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ৫ দিন। সাড়ে ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ৩ দিন। কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার ১৫ মাসে সংক্রামিতের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার অতিক্রম করেছে। সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ৮ দিন। ৭ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ৩ দিন। সাড়ে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ৪ দিন। ৮ হাজার থেকে সাড়ে ৮ হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ৫ দিন। সাড়ে ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ৫ দিন। ৯ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ৬ দিন। সাড়ে ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ১১ দিন।

মাঝে করোনার প্রকোপ কমলেও চলতি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনার প্রকোপ। জানুয়ারির ২০ তারিখে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।