ব্রেকিং:
পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত কুমিল্লায় তিন উপজেলায় বিজয়ী যারা- মনোহরগঞ্জে ভোটার না থাকলেও বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে ৭৭ হাজার ভোট! ব্যালটে ভুল প্রতীক, কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বদলি সাংবাদিকদের নাস্তার প্যাকেটে টাকার খাম! বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী সৌদিতে ফখরুল-ফালুর রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে বিএনপিতে তোলপাড় ৫ম বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন পুতিন বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিল বৃষ্টি, বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ শিক্ষার্থী দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কুমিল্লার কলঙ্কিত সেই বাড়ি

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২৩  

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার প্রায় ৪৮ বছর অতিবাহিত হচ্ছে। এখনও অধরা আরও বেশ কয়েকজন খুনি। ওই খুনিদের মধ্যে ঘৃণিত এক নাম কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ।
নব্বই দশকের পর যে ব্যক্তিটি তার নিজ এলাকা কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দাম্ভিকতার সাথে বঙ্গবন্ধু হত্যার কথা স্বীকার করে নিজের ক্ষমতার পাহার সমান জাহির করতেন ১৯৯৬ইং সালের পর থেকে ওই ব্যক্তিটিকে আর দেখা যায়নি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ইং সালের সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর দেশ ত্যাগ করে আত্মগোপন করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের আত্মস্বীকৃত খুনি আব্দুর রশিদ।
২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার গঠন করার পর অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ানোর চেস্টা করেছিলেন খুনির পরিবার। কিন্তু সেই প্রচেষ্টাও সফল হয়নি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আবারও সরকার গঠনের পর শুরু হয় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার হত্যা মামলা। ওই মামলায় ২০০৯ সালে খুনিদের মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষনার পর চূড়ান্ত নিরাপদে চলে যায় খুনি আব্দুর রশিদ।
এদিকে প্রতি বছরের আগষ্ট মাস আসলেই মুজিব প্রেমী চান্দিনাবাসীর অন্তরে শোকের ছায়া নেমে আসে। খুনি রশিদকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি বাস্তবায়ন করলেই যেন তারা কিছুটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতো। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ঘোষনার প্রায় ১৩ বছর পরও খুনি রশিদ এর ফাঁসি কার্যকর করতে না পারায় ক্ষোভ ঝাড়ছেন তার নিজ গ্রাম ছয়ঘরিয়া গ্রামের মুজিব প্রেমীরা। ধিক্কার করে বলেন, ‘রশিদ এই গ্রামের কলঙ্ক, তার কারণে আমরা চান্দিনার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা একথা কোথাও বলতে পারি না’।
খন্দকার আব্দুর রশিদ এর আপন চাচাতো ভাই খন্দকার ফয়জুল হক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি আমাদের বংশের কলঙ্ক। আজ তার কুকর্মের কারণে আমরা খন্দকার পরিবারসহ গ্রামবাসী বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। তার কুকর্মের শাস্তি তাকেই ভোগ করতে হবে।
একই বংশদ্ভুত ভাতিজা বিশিষ্ট্য আবৃত্তিকার খন্দকার সারওয়ার দীপ্তের কাছে খন্দকার আব্দুর রশিদ নামটি যেন এক বেদনা দায়ক নাম। প্রসঙ্গ তুললেই বলেন, এমন জঘন্য ব্যক্তির নাম আর শুনতে চাই না।
একই গ্রামের প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন ভূইয়া জানান, বর্তমান প্রজন্ম এই নামটিকে একটি ছয়ঘড়িয়া গ্রামের একটি কলঙ্ক, ঘৃণিত ও অভিশপ্ত নাম হিসেবে জানে। কারণ ছয়ঘড়িয়ার গ্রামের সন্তানের নাম শুনলে বাংলার মানুষ আঁৎকে উঠে। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এসে রায় কার্যকর করলে হয়তো কলঙ্কের দায় মুক্তি থেকে কিছুটা মুক্তি পাব। আর মরদেহ কখনও ছয়ঘড়িয়া গ্রামে সমাধিত হবে না।
পাশ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিন জানান, কলঙ্কিত খুনিকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকর করে এই চান্দিনাকে কলঙ্কের গ্লানি থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানাই। আর তার মরদেহ এই চান্দিনার বুকে কখনও স্থান হবে না।