ব্রেকিং:
শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার
  • রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চলতি মাসেই চালু হচ্ছে ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৩  

চলতি মাসেই আরও ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন চালু হচ্ছে। স্টেশনগুলোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। নতুন ফায়ার স্টেশন চালু হলে অগ্নিনির্বাপণ আরও সহজ হবে। আগুন নেভানো আরও সহজ করতেই ফায়ার সার্ভিসে চালু করা হলো 'ইমার্জেন্সি রেসপন্স কন্ট্রোল সেন্টার (ইআরসিসি)'। এই সেন্টারের মাধ্যমে অগ্নিকান্ড সম্পর্কে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে তথ্য পাওয়া যাবে। যা দ্রম্নত আগুন নেভাতে সহায়ক হবে।

বুধবার দুপুরে পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন সড়কে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে ইআরসিসি প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমনটাই জানালেন। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দেশের প্রতিটি উপজেলায় কমপক্ষে একটি করে ফায়ার স্টেশন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বর্তমানে দেশে ৫০৩টি ফায়ার স্টেশন আছে। চলতি মাসেই আরও ৪৩টি নতুন ফায়ার স্টেশন চালু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফায়ার স্টেশনগুলোর উদ্বোধন করবেন। ফায়ার সার্ভিসের জনবল ৬ হাজার থেকে প্রায় ১৫ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তা ৩০ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। ফায়ার সার্ভিসে যুক্ত করা হয়েছে ৬৮ মিটার উঁচু ভবনে অগ্নিনির্বাপণের টার্নটেবল লেডারসহ উন্নত প্রযুক্তি।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৫টিতে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ফায়ার স্টেশনে নূ্যনতম একটি করে অ্যাম্বুলেন্স দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা মোতাবেক ৩৫৭টি অ্যাম্বুলেন্স কেনার প্রক্রিয়া চলছে। ফায়ার সার্ভিসের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটির সদস্যদের আজীবন রেশন সুবিধা চালু করা হয়েছে। আগামীতে ফায়ার সার্ভিসকে আন্তর্জাতিকমানের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই ইআরসিসি ভবন তৈরি করা হয়েছে। ইআরসিসির প্রযুক্তিগত সুবিধার কারণে আগুন নেভানো আরও সহজ ও দ্রম্নত হবে। কারণ এই প্রযুক্তির কারণে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই অগ্নিদুর্ঘটনা সংক্রান্ত খবর পাওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ইআরসিসি-র মাধ্যমে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ২৮টি ফায়ার স্টেশনের অধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিসি ক্যামেরা ও আধুনিক জিআইএস সুবিধার আওতায় আনা হবে। একই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোতে জিপিআরএস সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এতে করে অগ্নিকান্ড ও দুর্ঘটনার সঠিক অবস্থা ও ঘটনাস্থল সম্পর্কে দ্রম্নত জানা যাবে। দ্রম্নত জানার কারণে দ্রম্নততার সঙ্গে কাজ করারও সম্ভব হবে। এতে করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হবে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ সরকার ও কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কইকা) অর্থায়নে প্রজেক্টটি নির্মিত হয়েছে। ইআরসিসিতে স্থাপন করা হয়েছে উন্নতমানের প্রযুক্তি।

এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে উপসহকারী পরিচালক ফয়সালুর রহমানের নেতৃত্বে একদল চৌকস অগ্নিসেনা তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং সিক, কইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিম তাইইয়াং ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (ফায়ার উইং) শাহানারা খাতুন।