ব্রেকিং:
পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত কুমিল্লায় তিন উপজেলায় বিজয়ী যারা- মনোহরগঞ্জে ভোটার না থাকলেও বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে ৭৭ হাজার ভোট! ব্যালটে ভুল প্রতীক, কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বদলি সাংবাদিকদের নাস্তার প্যাকেটে টাকার খাম! বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী সৌদিতে ফখরুল-ফালুর রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে বিএনপিতে তোলপাড় ৫ম বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন পুতিন বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিল বৃষ্টি, বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ শিক্ষার্থী দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষের সেবা করতে চাই: ড. এসএম জাহাঙ্গীর

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২৩  

সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ মেনে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে চান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘ মানুষের কল্যাণের জন্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু তাঁর হতেগড়া সংগঠন ও আদর্শ বেঁচে আছে এ দেশের অসংখ্য মুজিবপ্রেমী মানুষের মধ্যে। এই আদর্শকে কাজে লাগিয়েই বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষের ভাগ্যবদলে বাকী জীবন কাজ করে যাব। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আগামী সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ ( বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া) সংসদীয় আসনে দলীয় নমিনেশন চাইব।' গতকাল দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম ১৯৫৫ সালের ১০ই জুলাই কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলাধীন শশীদল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মৃত. এস. এম. শাহজাহান ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা, মাতা- জাহানারা বেগম একজন ব্যবসায়ী ও গৃহিনী। ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম এর এক মেয়ে ও এক ছেলে। তারমধ্যে মেয়ে ডাঃ সৈয়দা জেবিন সারিয়া (৩২তম বিসিএস), সহঃ রেজিষ্টার, হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট, ঢাকা এবং ছেলে- ব্যরিষ্টার এস. এম. মেরাজুল আলম, এডভোকেট, ঢাকা বার এবং হাইকোর্ট ডিভিশন।


তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এ. (অনার্স) এম. এ ডিগ্রি লাভ করেন (১৯৭৪-৭৯)। পরবর্তীতে- কুমিল্লা আইন কলেজ থেকে এলএল.বি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজ বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা লাভ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন কালীন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সভাপতি পদে অধিষ্টিত ছিলেন। ১৯৭৯ সালে চাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের মনোনয়নে সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ঠচ) পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। ১৯৮১ সাল হতে ২০১৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহকুমা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী পরিচালক ও উপ-পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন (১৯৮১-১৯৮৪)। আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে সহকারী জজেরও দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি এনবিআর এর বিসিএস (কর) ক্যাডারে কর কমিশনার পদ হতে বেশ সুনামের সাথে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি কর্মকালীন সময়ে সরকারের অনুমতিক্রমে লন্ডন ইনিষ্টিটিউট অব টেকনোলজি এন্ড রিসার্চ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রত্যক্ষ করের উপর গবেষণা করে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন, গবেষণার বিষয় ছিল: গড়ঃরাধঃরড়হ অপঃরারঃরবং ভড়ৎ ঃযব ঞধী চধুবৎং ড়ভ ইধহমষধফবংয। ২০০৯ সালে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চঁনষরপ ঋরহধহপরধষ গধহধমবসবহঃ এর উপর ডিপ্লোমা লাভ করেন।


এছাড়া এনবিআর এর কর কমিশনার থাকাকালীন চলমান অর্থনীতির উপর চীন থেকে প্রশিক্ষণ লাভ করেন (২০১৪)। তিনি ১৯৯২ সাল হতে সরকারী, বেসরকারী প্রতিনিধি এবং ঠওচ পদমর্যাদায় ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, চীন, দুবাই, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ভ্রমন করেন। ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম- ১৯৭১ সালে ২নং সেক্টরে বক্সনগর ও হাতিমারা সীমান্ত এলাকায় সন্মুখযুদ্ধে অবর্তীন হয়ে আহত হন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারী ভাবে স্বীকৃত; সম্মানী ভাতা ও রেশন বরাদ্ধ অব্যাহত আছে।


এছাড়া ২০০৪ সালে তিনি প্রত্যক্ষ কর এবং চলমান অর্থনীতির উপর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কলামিষ্ট হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন, যার ফলে বিশ্ব ব্যাংকের দৃষ্টি আকর্ষিত হওয়ায় "কর গবেষক” হিসাবে সম্মাননা সূচক মীর মোশারফ হোসেন স্মৃতি স্বর্ণ পদক লাভ করেন। ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম ১৯৯৫ সালে নিজ এলাকা অর্থাৎ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় মায়ের নামে “চৌব্বাস জাহানারা উচ্চ বিদ্যালয়" এবং ২০১১ সালে “শশীদল গার্লস স্কুল" প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, রাজস্ব আহরণ ও চলমান অর্থনীতি। সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।


সাংগঠনিক ভাবে তিনি ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের একজন নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এর নির্বাচিত নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৯ সালে ৮ম সাব গেমস বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের (প্রথম স্বর্ণজয়ী দল) এসোসিয়েট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধিকল্পে “কর ও কারবার” নামে অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং উপস্থাপনা করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে চলমান অর্থনীতি এবং রাজস্ব আহরণ সংক্রান্ত বিষয়ে 'টকশো' তে অংশগ্রহণ করে দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের উন্নয়নে ধারাবাহিকতা অর্জনে বক্তব্য রাখেন। ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক সংবাদ, দৈনিক জনকণ্ঠ এবং উধরষু ঝঁহ পত্রিকার নিয়মিত লেখক, তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ ও বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সম্মানীত সদস্য হিসেবে তালিকাভূক্ত।তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্যানেল এডভোকেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।