ব্রেকিং:
কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ
  • শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মামলা করে আতঙ্কে কৃষক, ১৩ দিনেও আসামি অধরা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২৩  

 লক্ষ্মীপুরে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা করায় মো. জাহাঙ্গীর নামে এক কৃষককে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে পরিবার নিয়ে তিনি আতঙ্কে রয়েছেন। ঘটনার ১৩ দিন পার হয়ে গেলেও মামলার আসামি মো. সেলিম ও শিউলি আক্তারকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার (২১ জুন) বিকেলে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। 

এদিকে মামলা সরিয়ে নিতে জাহাঙ্গীরকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় হাজিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মাসুদ রানা আসামিদের মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

বাদী জাহাঙ্গীর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামের ডাক্তার বাড়ির মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে। আসামি সেলিম বাদীর ছোট ভাই। অপর আসামি শিউলি বাদীর ছোটভাই মো. সুমনের স্ত্রী।

এজাহার সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীর মালদ্বিপ প্রবাসী ছিলেন। বিদেশ থাকাকালীন তিনি পৌনে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ২০০৫ ওই জমিতে তিনি একতলা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ২০০৯ সালে তিনি দেশে চলে আসেন। ২০১৪ সালে তিনি ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এরমধ্যে ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী সেলিম, সুমন ও মালদ্বিপ প্রবাসী আলমগীরের ঘর না থাকায় জাহাঙ্গীর নিজের বাসায় তাদের থাকতে দেন। এদিকে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে একটি বাসায় থাকতে কষ্ট হওয়ায় জাহাঙ্গীর তাদেরকে নিজস্ব জমিতে ঘর নির্মাণ করতে বলেন। এতে তারা জাহাঙ্গীর বাসায় নিজেদের মালিকানা দাবি করেন। এনিয়ে একাধিকবার তারা জাহাঙ্গীরের গায়ে হাত তোলেন ও বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেন। গত ৯ জুন রাত পৌনে ১০ টার দিকে বাসার কেচি গেটের ভেতরের অংশ তালা মেরে সেলিম ও শিউলি তার ওপর হামলা করেন। এসময় সেলিম ধারালো দা দিয়ে জাহাঙ্গীর মাথায় কোপ দেয় ও শিউলি রড দিয়ে তার বাম হাতে আঘাত করে। এতে জাহাঙ্গীরে মাথায় রক্তাক্ত জখম ও হাত ভেঙে যায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় স্ত্রী শিল্পি আক্তার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ৬ দিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১৪ জুন জাহাঙ্গীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী অঞ্চল চন্দ্রগঞ্জ আদালতে সেলিম ও শিউলির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। 

বাদীর আইনজীবী মো. লুৎফুর রহমান রহিম গাজী জানান, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানাকে এফআইআর দাখিল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদী জাহাঙ্গীর জানান, ১৫ জুন আদালতের নির্দেশনায় চন্দ্রগঞ্জ থানা এফআইআর দাখিল করেন। এরপর প্রতিদিনই আসামি সেলিম ও শিউলিকে গ্রেপ্তারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুল আউয়ালকে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেছি। কিন্তু তিনি তাদেরকে গ্রেপ্তার করেননি। উল্টো মামলাটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য সেলিম বিভিন্নভাবে জাহাঙ্গীরকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এতে সেলিমদেরকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ রানা মদদ দিচ্ছে। 

অভিযুক্ত সেলিম বলেন, জাহাঙ্গীর আমার ভাবি শিউলিকে মারধর করছিল। আমি বাধা দিতে গেলে তিনি আমাকে মারধর করেন। এসময় হাতাহাতির একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর পড়ে যান। এতে তার হাত ভেঙে যায়। সাজানো ঘটনায় মামলা তিনি আমাদেরকে হয়রানি করছেন। 

হাজিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মাসুদ রানা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। আমি উভয়পক্ষকে ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য বৈঠকে বসতে বলেছি। কিন্তু তারা রাজি হচ্ছে না। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আউয়াল বলেন, বাদী একাধিকবার আমাকে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। কিন্তিু আমি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারিনি। মামলাটির তদন্তে আমি গতকাল বুধবার ঘটনাস্থল গিয়েছি। মামলার দ্বিতীয় আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। প্রথম আসামি সেলিম পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।