ব্রেকিং:
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া
  • শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রামগঞ্জ পোস্ট অফিসের সংস্কার কাজে অনিয়ম

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২৩  

রামগঞ্জ উপজেলা পোষ্ট অফিস ভবনের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার ছাদে প্যার্টানস্টোন ঢালাইতে পাথরের(স্টোনচিপের) পরিবর্তে নিম্নমানের ইটের মুড়ি কনা। দরজায় ব্যবহার করছে সেগুন কাঠের পরিবর্তে কড়ইকাঠ। সিডিউল অনুযায়ী কাজটি করছেন না অভিযোগ উপজেলা পোস্টমাষ্টারসহ স্থানীয়দের। এ ছাড়াও চলতি অর্থ বছরের জুন মাসে কাজটি শেষ করার কথা থাকলেও ২১জুন পর্যন্ত কাজের ৪০ ভাগ বাকী।

জানা যায়, কাজটি টেন্ডার পায় যশোরের জেসি এন্টারপ্রাইজ। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কাজটি কিনে নেয় নোয়াখালী মাইজদির সাকিল নামের এক যুবলীগ নেতা। তিনি  রাসেল নামের আরেক জনের কাছে বিক্রি করে দেন। কাজটির সিডিউল মূল্য ছিল ৪৩ লাখ টাকা।

উপজেলা পোষ্ট মাষ্টার জসিম উদ্দিনসহ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী বলেন, কর্তৃপক্ষ ভবনটির সংস্কার কাজে ঠিকাদারকে সহযোগিতা করতে বলছেন। কিন্তু আমাদের কাছে কাজের কোন সিডিউল বা তথ্য নেই। ঠিকাদারও নিজের ইচ্ছামত কাজ করছে। চোখের সামনে নিম্নমানের ইট, ধুলবালু, সিমেন্ট ব্যবহার করছে। ছাদে পাথরের পরিবর্তে নিম্নমানের ইটের মুড়ি কনা। দরজার কাঠগুলি খুব খারাপ,সম্ভবত করই গাছের মাঠ হবে। ডিপ টিওবয়েলে ৪০ থেকে ৫০ ফুট পাইপ দিয়েছে। এভাবে নিম্নমানের কাজ কোথাও দেখি নাই। তবুও কিছু বলতে পারছি না। ঠিকাদার আমাদেও কোন কথার পাত্তাই দিচ্ছে না।

মেস্তুরী সহিদ উল্যাহ বলেন, আমাদেরকে ঠিকাদার যেভাবে বলেন এবং যে মালামাল দেয় সেভাবে কাজ করি। ভাল মন্দ বুঝবে ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার।

ঠিকাদার রাসেল বলেন, কাজটি কে টেন্ডার পেয়েছেন জানি না। আমি কাজটি সাকিল ভাইয়ের কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। পাথর দেওয়ার কথা থাকলেও কোথাও পাথর পাওয়া যায় না, এদিকে বিল্ডিংয়ের টেম্পার কম, তাই ইঞ্জিনিয়ার পাথরের পরিবর্তে ইটের মুড়ি কনা দিয়ে ছাদ ঢালাই করতে করতে বলছেন। সিডিউল প্রকৌশলীর কাছে আছেন বলে জানান।

মাইজদীর ঠিকাদার সাকিল বলেন, কাজটি আমি যশোরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেসি এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। ছাদে প্যার্টানস্টোন ঢালাইতে পাথরের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মুড়ি কনা দিচ্ছি। এতে কোন সমস্যা হবে না। জেসি এন্টারপ্রাইজের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ডাকবিভাগের বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী চাঁদ মিয়া সরকার বলেন, আমরাও চাই কাজটি ভাল হোক। শীঘ্রই কাজটি তদন্ত করে অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।