ব্রেকিং:
পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত কুমিল্লায় তিন উপজেলায় বিজয়ী যারা- মনোহরগঞ্জে ভোটার না থাকলেও বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে ৭৭ হাজার ভোট! ব্যালটে ভুল প্রতীক, কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বদলি সাংবাদিকদের নাস্তার প্যাকেটে টাকার খাম! বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী সৌদিতে ফখরুল-ফালুর রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে বিএনপিতে তোলপাড় ৫ম বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন পুতিন বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিল বৃষ্টি, বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ শিক্ষার্থী দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ
  • শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

  • || ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সতীনের ছেলেকে নদীতে ছুঁড়ে ফেলল সৎ মা, এরপর...

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০১৯  

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার প্রথম শ্রেণির ছাত্র আশেদুল ইসলাম আশিককে নাগর নদে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সৎ মা জেমি খাতুন।

সোমবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন জেমি। পরে তাকে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়।
 
সূত্র জানায়, দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের ধাপসুখানগাড়ির মোমিন প্রামাণিক ২০০৮ সালে নূরে আকতারকে বিয়ে করেন। আশিকের বয়স যখন তিন বছর তখন মাদকাসক্ত মোমিন প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর গ্রামের খায়রুল ইসলামের মেয়ে জেমি খাতুনকে বিয়ে করেন।

এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ হলে ৩-৪ বছর আগে তিনি প্রথম স্ত্রী নূরে আকতারকে তালাক দেন। এরপর তার ছেলে আশিককে সতীনের ঘরে রেখে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ নেন। আশিক স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়তো।

শনিবার সকালে আশিক পারোটা কেনার জন্য থানা বাসস্ট্যান্ডের দিকে হোটেলে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। দুপুরে বাড়ির কাছে নাগর নদে তার মরদেহ ভাসতে দেখা যায়।

শিশু আশিককে হত্যার অভিযোগ উঠলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
 
আশিকের মা নুরে আকতার ঢাকা থেকে ফিরে অভিযোগ করেন, সতীন জেমি খাতুন তার সাজানো সংসার নষ্ট করেছে। এরপর তার একমাত্র সন্তানকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিল।

তিনি আরো বলেন, তার সন্তান স্কুলে পড়তো। মাথায় কোনো সমস্যা ছিল না। রোববার বিকেলে আশিকের মরদেহ দাফনের পর বিক্ষুব্ধ জনগণ জেমিকে গ্রেফতারের দাবি জানালে পুলিশ অস্বীকৃতি জানায়। তখন জনগণ জেমির বাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের হুমকি দিলে পুলিশ বাধ্য হয়ে জেমিকে থানায় নিয়ে আসে।

রাতে নিহত শিশুর মা নূরে আকতার দুপচাঁচিয়া থানায় সতীন জেমির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফিকুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেমি তার সৎ ছেলে আশিককে নাগর নদে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেন। সোমবার বিকেলে তাকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিষ্কৃতি হাগিদকের আদালতে হাজির করলে জেমি খাতুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জেমি আদালতকে বলেন, নিজেই সতীনের ছেলে আশিককে নাগর নদে ফেলে হত্যা করেছেন।

এদিকে সতীন জেমি আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়ায় শিশু আশিকের মা আশিক নূরে আকতার, তার পরিবার ও গ্রামবাসীদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। সবাই জেমি খাতুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।