ব্রেকিং:
পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত কুমিল্লায় তিন উপজেলায় বিজয়ী যারা- মনোহরগঞ্জে ভোটার না থাকলেও বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে ৭৭ হাজার ভোট! ব্যালটে ভুল প্রতীক, কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বদলি সাংবাদিকদের নাস্তার প্যাকেটে টাকার খাম! বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী সৌদিতে ফখরুল-ফালুর রুদ্ধদ্বার বৈঠক নিয়ে বিএনপিতে তোলপাড় ৫ম বারের মতো প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন পুতিন বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিল বৃষ্টি, বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ শিক্ষার্থী দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বামীর ফিঙ্গার প্রিন্টে বেতন তোলেন স্ত্রী

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক আয়ার বিরুদ্ধে ৪ বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতনভাতা ভোগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৪ বছরে তিনি প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা উত্তলোন করেছেন।

অভিযুক্ত রহিমা বেগম ১৯৯৫ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়া পদে যোগদান করেন। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে যান। এরপর আর কর্মস্থলে যোগদান না করেও গত চার বছর ধরে সরকারি বেতন-ভাতার টাকা ভোগ করে আসছেন।

অভিযোগ রয়েছে, মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ডিজিটাল হাজিরা (ফিঙ্গার প্রিন্ট) চালু করা হয়। এক্ষেত্রে আয়া রহিমার শতভাগ উপস্থিতি ঠিক রাখতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় গত ৪ বছর ধরে স্বামী জামাল হোসেন তার আঙ্গুলের ফিঙ্গার প্রিন্ট চালিয়ে যাচ্ছেন। মাস শেষে রহিমা ২৪ হাজার টাকা ও সরকারি সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা তুলে নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আয়া রহিমা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আমি পায়ে ব্যথা পেয়ে প্রায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলাম। কয়েক বছর আমার চলাফেরা করতেও খুবই সমস্যা হতো। নিয়মিত চিকিৎসার ফলে বর্তমানে আমি কিছুটা ভালো। আমি প্রতিদিনই হাসপাতালের ডিউটিতে যাই। অসুস্থতার কারণে আমি কাজ করতে পারি না বিধায় আমার স্বামী আমার উপস্থিতিতে কাজে সহযোগিতা করে থাকেন।

মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক বলেন, আমি এখানে দায়িত্ব নেওয়ার পর রহিমা বেগমের বিষয়টি জানতে পারি। আসলে আমার আগে যে কর্মকর্তারা ছিলেন তারা নাকি রহিমা বেগমের অসুস্থতার কথা জেনে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার উপস্থিতিতে তার স্বামীর ডিউটি করার অনুমতি দিয়েছিলেন। তারপরও বিষয়টিকে আমি যাচাই-বাছাই করে গুরুত্বসহকারে দেখছি।

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখছি। ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।