ব্রেকিং:
বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিল বৃষ্টি, বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ শিক্ষার্থী দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

২৪ ই-কমার্সের বিরুদ্ধে সারাদেশে ১০৫ মামলা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

দেশের বিভিন্ন থানায় বর্তমানে ২৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১০৫টি মামলা রয়েছে। প্রতারণা, বিশ্বাস ঘাতকতা, হুমকি দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন গ্রাহকরা। এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।

দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে ই-কমার্স খাতে চাহিদা বাড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নতুন কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানও তৈরি হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সে মানুষের আগ্রহ দেখে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসে। বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে প্রতিষ্ঠানগুলো। এরপর ক্রেতাদের থেকে আগাম টাকা নিয়ে শর্ত অনুযায়ী সময়মতো পণ্য সরবরাহ করেনি অনেক প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিনেও পণ্য বা টাকা কোনোটাই না পেয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের ক্রেতারা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেন। অনেকে থানায় মামলাও করেছেন।

এক পর্যায়ে পুরো ই-কমার্সে এক ধরনের অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়লে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নেয়। অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক কার্যক্রম বন্ধ করে পালিয়ে যান। আবার অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে বিচারাধীন রয়েছেন। এ রকম অবস্থায় যেসব গ্রাহকের টাকা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে আটকা পড়েছে, তা ফেরত দেওয়া যায় কিনা, সেজন্য উদ্যোগ নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু আইনি জটিলতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাদের ক্ষেত্রে করণীয় কী হবে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পরিস্কার নয়। এ জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেল। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুলিশের কাছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে কোথায়, কী মামলা আছে, তার তথ্য চায়। এরই অংশ হিসেবে সিআইডি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এই ২৪ প্রতিষ্ঠানের তথ্য দিয়েছে।

যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের মধ্যে রয়েছে— ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, কিউকম, রিংআইডি, ধামাকা শপিং, গ্লোবাল ই-কমার্স, গ্লোবাল গেইন ই-কমার্স, আনন্দের বাজার, আনন্দবাজার, দালাল প্লাস, অ্যামসবিডি, ফাল্কগ্দুনী শপ বিডি, সিরাজগঞ্জ শপ, এসপিসি ওয়ার্ল্ড এপপ্রেস, ২৪টিকেটি, নিরাপদ শপ, র্যাপিড ক্যাশ-কুইক অনলাইন ই-লোন অ্যাপ, সহজ লাইফ অ্যান্ড লাইভলি লাইফ, এহসান গ্রুপ, থলে ডটকম, আলিফওয়ার্ল্ড, মাইক্রোট্রেডগ্রুপ ডটকম, ডিজাইন ফ্যাশন ও জেকা বাজার।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে— ই-অরেঞ্জের নামে। প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ৪২টি মামলা করেছেন। মামলায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে— ইভ্যালি। আলোচিত প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানা এবং সাভার, ফরিদপুর ও সিরাজগঞ্জে মোট ২০টি মামলার তথ্য পেয়েছে সিআইডি। এ ছাড়া কিউকমের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা রয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে এক থেকে তিনটি মামলা রয়েছে।

এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে মামলা আছে, তাদের গ্রাহকদের টাকা এসক্রো (পণ্য পাওয়ার পর টাকা জমা হওয়ার পদ্ধতি) সার্ভিসে আটকে থাকলেও ফেরত দেওয়া যাবে কিনা, তা নির্ভর করবে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর। আইন মন্ত্রণালয় এখনও মতামত দেয়নি। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের টাকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গেল।