ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কিশোর বয়সে বাবা-মা থেকে সন্তান দূরে সরে যায় কেন?

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  

বলা হয় বাবা-মায়ের কাছে কখনোই বড় হয় না সন্তান। কিন্তু আদর-স্নেহ দিয়ে বড় করা সন্তানই যখন একটা বয়স পর আস্তে আস্তে মানসিক ও শারীরিকভাবে দূরে সরে যেতে থাকে, তখন সেটাও এক গভীর পীড়ার জন্ম দেয় বাবা-মায়ের মনে। কিন্তু কেন এমনটা হয়?

সন্তান যখন বড় হতে থাকে তখন নিজের ও বাবা-মেয়ের মাঝখানে একটি অদৃশ্য দেয়াল তুলতে শুরু করে। কখনো জেনে কখনো নিজের অজান্তেই দূরে ঠেলে দেয় নিজের পরিবারকেই। যার জন্য দায়ী তার পরিবেশ, বয়স কিংবা অনেকাংশে বাবা-মা নিজেই। জেনে নেয়া যাক কিশোর বয়সে এই দূরত্বের ৫ টি কারণ।

১. অনেকেই ভাবেন যেসব বাচ্চারা বাবা-মা থেকে দূরে সরে যান তারা খারাপ কিংবা অকৃতজ্ঞ। তবে এটা সত্য নয়। অনেক সময় বাবা-মা সন্তানকে বুঝতে চেষ্টা করেন না। সময় দেন না। ফলে সন্তান নিজেকে অদৃশ্য ভাবতে শুরু করে।

২. বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের একটা বড় অংশ তৈরি হয় তারা কেমনভাবে দেখতে চায় সন্তানকে সেই ভিত্তিতে। যদি কোনো প্যারেন্ট সন্তানকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেন, তার চিন্তাধারাকে গুরুত্ব দেন, তার মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দেন তাহলে তারা সঠিক শিক্ষায় বড় হয়ে ওঠে এবং বাবা-মার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে উৎসাহী হয়।

৩. অনেক সময় আবেগের দিক দিয়ে অপরিপক্ব প্যারেন্টস বুঝে উঠতে পারেন না, কীভাবে তার সন্তানের সঙ্গে একটি সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তুলবেন। তারা হরহামেশাই সন্তানকে অনুতপ্ত বোধ, লজ্জা এবং অন্য বাচ্চার সঙ্গে তুলনা করে বড় করেন। সন্তানকে অনুরোধ না করে তাকে সব সময় আদেশ দেয়া হয়, যার ফলে সন্তান আস্তে আস্তে দূরে সরে যায়।

৪. অনেক প্যারেন্টস বাচ্চার মানসিক ও আবেগময় দিক বুঝতে চেষ্টা করেন না। অনেক সময় বাচ্চারা বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে তার নিজের পয়েন্ট অব ভিউ বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু প্যারেন্টস এক্ষেত্রে কিছুই বোঝার চেষ্টা না করে তাদের চিন্তাধারা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। যার ফলে বাচ্চা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

৫. দক্ষিণ এশীয় বাবা-মায়ের আরেকটি সমস্যা হলো তারা সন্তানের কাছে কখনো ক্ষমা চান না। তাদের ধারণা তারা সন্তান জন্ম দিয়েছেন সুতরাং সব সময় সঠিক। কিন্তু এই ধারণা ভুল। মানুষ মাত্রই ভুল। আর ক্ষমা চাওয়া, সরি বলা সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাই প্যারেন্টসেরও উচিত সন্তানের কাছে নিজের ভুলের জন্য, খারাপ ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাওয়া।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া