ব্রেকিং:
তেলের দাম বাড়াল সৌদি কেজিতে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ কুমিল্লায় ‘কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম হবে ৫০ টাকার মধ্যে’ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস, আ.লীগ নেতাকে অব্যহতি কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়? কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ রাত ১১টার পর চা-পানের দোকান বন্ধের নির্দেশ রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ
  • মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কুবিসাসের অফিস ভাঙচুর

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২৩  

'সাংবাদিকরা এখনও আমাকে চিনে না, আমি কে?', 'এই ক্যাম্পাস কারো বাপের না', 'সাংবাদিকরা আমাদের কী করবে দেখে নেব ও গুন্ডামির কী দেখছে' এই হুমকির পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি'র অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতের আঁধারে তারা কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার দু'তলায় অবস্থিত ১৪ নং কক্ষে এ হামলা চালানো হয়েছে।
গত ২৯ মে একটি জাতীয় দৈনিকের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে হেনস্তা করতে গিয়ে এমন কথা বলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজা-ই-এলাহী।
পরে এ ঘটনার জের ধরে সাংবাদিকদের দিকে তেড়েও আসেন রেজা ও তাঁর অনুসারীরা। এ ঘটনার পর তার অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে সরাসরি হুমকি দিয়ে আসছিলেন সংবাদকর্মীদের। এদের মধ্যে ছিলেন রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত মাহি হাসনাইন, মমিন শুভ, নূর উদ্দিন হোসাইন, স্বজন বরণ বিশ্বাস, আমিনুর বিশ্বাস, সাদ্দাম হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল কাফি, দ্বীপ চৌধুরী, রাকেশ দাস, রাশেদ ইবনে নূর, এসকে মাসুম, রাকিব হোসাইন, নওশীন আল ইসলামসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদেরকে সরাসরি হুমকি দেন।
এদিকে অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মুহা. মহিউদ্দিন মাহি বলেন,‘বেলা সোয়া ১১টার দিকে আমার সহকর্মীরা অফিস ভাঙচুরের বিষয়টি দেখে আমাকে ফোন দিলে আমি প্রশাসনকে জানাই। এরপর প্রক্টর আসলে তাকে নিয়ে আমরা অফিসে প্রবেশ করি। বেশ ক’দিন ধরেই রেজা-ই-এলাহি ও স্বজন বরণ বিশ্বাস নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের অংশ আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। আজ তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। আমরা এ হামলার দ্রুত বিচার চাই।’
তবে হুমকি ও ভাঙচুরের ঘটনা অস্বীকার করে রেজা-ই-এলাহি বলেন, এ ঘটনায় আমি বা আমার অনুসারী কেউ জড়িত নয়।
একই বিষয়ে স্বজন বরণ বিশ্বাসের মন্তব্য জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোনকল করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন,‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাদের থেকে অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, আমি প্রক্টরকে নির্দেশনা দিয়েছি। এ বিষয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, ছাত্রলীগ যারা করে তারা এ ধরনের অনৈতিক কাজ করতে পারে না, ছাত্রলীগ কর্মীদের এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। বিশৃঙ্খলার কারণেই এখানে (কুবি) ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে, সুতরাং ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কারো এখানে অপকর্মে যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।